পাকিস্তানে খুন লস্কর-ই-তৈয়বার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসী আবু কাতাল

Published: 16 March 2025

পোস্ট ডেস্ক :


পাকিস্তানে খুন হলেন লস্কর-ই-তৈয়বার মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী আবু কাতাল। জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক হামলার পরিকল্পনা করার জন্য কাতাল এই সংগঠনের প্রধান অপারেটর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সূত্র মারফত খবর, আবু কাতাল যার আসল নাম জিয়া-উর-রহমান, তার নিরাপত্তারক্ষীর সাথে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিলাম এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখন অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হামলাকারীরা ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই আবু কাতাল ও তার এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক রক্ষী।

লস্কর-ই-তৈয়বার পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পাকিস্তানি সামরিক কর্মীদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকতেন আবু কাতাল। ঝিলাম এলাকায় দিনা পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জিনাত হোটেলের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আবু কাতালের কনভয় যখন সেই জায়গা অতিক্রম করছিল, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। আবু কাতাল, যিনি ২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার শিব খোরি মন্দির থেকে ফিরে আসা তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাসে গত বছর ৯ জুন হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। হামলাটি কাতালের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। হাফিজ সাঈদই আবু কাতালকে লস্করের চিফ অপারেশনাল কমান্ডার নিযুক্ত করেছিলেন। কাশ্মীরে বড় ধরনের হামলা চালাতে হাফিজ সাঈদ আবু কাতালকে নির্দেশ দিতেন।

ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ২০২৩ সালের রাজৌরি হামলায় জড়িত থাকার জন্য তার চার্জশিটে আবু কাতালের নাম উল্লেখ করেছে। ২০২৩ এর ১ জানুয়ারি রাজৌরির ধানগরি গ্রামে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে একটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। হামলার পরের দিন আইইডি বিস্ফোরণ হয়। হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন মারা যায় এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত হয়।

এনআইএ রাজৌরি হামলা মামলায় নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) সংগঠনের তিন পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যান্ডলারসহ পাঁচ অভিযুক্তর নাম চার্জশিটে দিয়েছে। এনআইএ তদন্ত অনুসারে, এই ত্রয়ী পাকিস্তান থেকে এলইটি সন্ত্রাসীদের নিয়োগ এবং প্রেরণের পরিকল্পনা করেছিল। বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীদের টার্গেট করার জন্য। তিনি ২০ এপ্রিল, ২০২৩ -এ ভাট্টা/দুরিয়া সন্ত্রাসী হামলার সাথেও জড়িত ছিলেন, যেখানে পাঁচজন সেনা সদস্য মারা গিয়েছিল এবং তাদের দেহ বিকৃত করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনায় আবু কাতালকে তার ভূমিকার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী সহ বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থা নজরে রেখেছিল।