কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

Published: 5 April 2025

পোস্ট ডেস্ক :


গ্রীষ্মকালের একটি পরিচিত ও প্রিয় ফল হলো কাঁচা আম। ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরে তাকালে মনে পড়ে যায়—লবণ আর মরিচ মাখানো কাঁচা আমের টক-মজাদার স্বাদ! শুধু স্বাদেই নয়, কাঁচা আম পুষ্টিগুণেও ভরপুর। বর্তমানে কাঁচা আম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটির রয়েছে নানা উপকারিতা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এর গুণাগুণ:

শরীরকে শীতল রাখে

গরমকালে শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমাতে কাঁচা আম দারুণ কার্যকর। এটি শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে যে সোডিয়াম ও মিনারেল বেরিয়ে যায়, তার ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

হজমে সহায়ক

কাঁচা আম হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি হজমের রস উৎপাদন করে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক, অজীর্ণতা ও বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। ফলে পেট থাকে সুস্থ ও আরামদায়ক।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

যকৃৎ বা লিভারের জন্য উপকারী

কাঁচা আম যকৃৎ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এটি বাইল অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়ায়, যা দেহের টক্সিন বের করে দেয়। এতে হজম ক্ষমতাও বাড়ে।

মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক

কাঁচা আম দাঁতের মাড়ির রক্ত পড়া কমাতে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। একইসঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও এ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

অতিরিক্ত খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যদিও কাঁচা আম স্বাস্থ্যকর, তবে অতিরিক্ত খেলে হতে পারে সমস্যা। যেমন—পেট ব্যথা, বদহজম, আমাশয় ও গলা জ্বালা। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার পরপরই ঠান্ডা পানি পান করা উচিত নয়, এতে গলা জ্বালাভাব বাড়তে পারে।

সতর্কতার সঙ্গে খান, উপভোগ করুন গ্রীষ্মের উপহার—টক-মজাদার কাঁচা আম!