এনসিপির কমিটিতে নাম আসার পর বললেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত’
পোস্ট ডেস্ক :

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে নাম আসা একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে এনসিপির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মরমি সাধক হাসন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীকে (সুমন)। সংগঠনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তাকে বিএনপির রাজনীতিতে কখনো সক্রিয় দেখা যায়নি।
কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রাখা হয়েছে পাঁচজনকে। এর মধ্যে প্রথমে নাম থাকা মো. হারুনুর রশিদ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে তিনি দলের নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, এনসিপি থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে কমিটি নিয়ে বা কমিটিতে রাখার বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এনসিপি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কথাবার্তা হয়েছে। তবে আমি তাদের সঙ্গে যোগ দেইনি। এখন হঠাৎ কমিটিতে নাম দেখে আমি বিব্রত। আমি বিএনপিতেই আছি এবং থাকবো।’
কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী আতাউর রহমান ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। যুগ্ম সমন্বয়কারী আবু সালেহ নাসিম সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন।
কমিটির বিষয়টি কেন্দ্র থেকে সমন্বয় করা হয়েছে জানিয়ে জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পাওয়া সাজাউর রাজা বলেন, ‘আমি সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলাম না। জুলাই গণ–আন্দোলনে সমর্থন ছিল। আমরা বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। মানুষ আর নৈরাজ্য, সন্ত্রাস চায় না। শান্তি ও স্বস্তি চায়। একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চায়।’
কমিটিতে থাকা অন্যরা হলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী ইসহাক আমিনি ও শহিদুল ইসলাম; সদস্য দেওয়ান তাসাদ্দুক রাজা, আলাল উদ্দিন, করিম মিয়া, শিবনাথ বিশ্বাস, জুলপাশ খান, ফয়সাল আহমদ, শাহানুর আলম, বিকাশ রঞ্জন তালুকদার, মো. রেজাউল করিম, আমিনুল হক, মির্জা আবদুল অদুদ, আলি হোসেন খান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. আজাদনুর মিয়া, শ্যামল শান্ত, হাসান আল মাসুম, হাফেজ আরিফুল ইসলাম সরকার, মো. শামিম আহমদ, মো. আবদুর রহমান, হাফিজ আহমদ, সাদিকুর রহমান, রফিক আহমদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেন ও মো. আলী রাজ আহমদ।




