ব্রিটেনের সঙ্গে ৩,৪০০ কোটি ডলারের মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করলো ভারত

Published: 24 July 2025

পোস্ট ডেস্ক :


ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং বৃটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে স্টারমারের পাশে দাঁড়িয়ে মোদিও এই চুক্তিকে ভারত এবং বৃটেনের যৌথ বিকাশের নীলনকশা বলে ব্যাখ্যা করেন। এই চুক্তির ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৩,৪০০ কোটি ডলার বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী মোদি।

তিনি বলেন, “আজ আমাদের (ভারত এবং ব্রিটেনের) সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিন। বেশ কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ দুই দেশ একটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।” বৃটেন ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর এটিই কোনও দেশের সঙ্গে বৃটেনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি। দীর্ঘ আলোচনার পরে গত ৬ মে ভারত এবং বৃটেনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ হয়ে যায়। এবার মোদির বৃটেন সফরকালে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল। দ্বিপাক্ষিক এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে বৃটেনের বাজারে ভারতের বেশ কিছু কৃষিজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য আমদানির জন্য কোনও শুল্ক লাগবে না।

নতুন চুক্তি অনুসারে, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো কৃষি পণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডালের মতো প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যগুলো বৃটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশ করতে পারবে। পাশাপাশি ভারতীয় মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবেন। ভারতের চিংড়ি, টুনা মাছ-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য বিনা শুল্কে বৃটেনের বাজারে আমদানি করা যাবে। বৃটেন থেকে আমদানি করা স্কচ হুইস্কি, জিন, জাগুয়ার, ল্যান্ডরোভারের মতো গাড়ি, মেডিক্যাল যন্ত্র, প্রসাধনী, চকোলেট, নরম পানীয় সস্তা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। তবে স্থানীয়দের স্বার্থের কথা ভেবে আপেল, চিজ়, দুগ্ধজাত পণ্য চুক্তির আওতায় আনেনি ভারত। এগুলো আমদানির ক্ষেত্রে কর ছাড় থাকছে না।বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি বলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন স্টারমার। তিনি লেখেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী চুক্তি হল। এর ফলে বৃটেনে চাকরি, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন হবে। এই চুক্তির ফলে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে, ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে ।”