পোপকে কাতর আহ্বান ম্যাডোনার
পোস্ট ডেস্ক :

দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলের হামলায় ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে গাজা। এই অবস্থায় খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ লিওকে গাজায় গিয়ে মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পপ তারকা ম্যাডোনা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্টে তিনি বলেছেন, অনেক দেরি হওয়ার আগে শিশুদের কাছে আপনার আলো পৌঁছে দিন। ম্যাডোনা যোগ করেন, একজন মা হিসেবে তিনি তাদের কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না। ম্যাডোনা বলেন, দুনিয়ার সব শিশুই সন্তানের মতো । আপনি আমাদের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি, যাঁকে গাজায় ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। নিজের ছেলে রক্কোর জন্মদিন উপলক্ষে পোস্টটি প্রকাশ করে ম্যাডোনা আরও লেখেন, আমার সন্তানের জন্য জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহার হবে যদি সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে গাজায় আটকে থাকা শিশুদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।
পোপকে এই আহ্বানের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই পপ কুইন। লেখেন, রাজনীতিতে যে পরিবর্তন আসে না, জাগ্রত বিবেক তা এনে দিতে পারে। ম্যাডোনার বিবৃতিতে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের সরাসরি সমালোচনা ছিল না। ম্যাডোনা বলেন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, পক্ষ নিচ্ছি না। সবাই কষ্ট পাচ্ছে, জিম্মিদের মায়েরাও। আমি তাদের মুক্তির জন্যও প্রার্থনা করছি। আমি শুধু চেষ্টা করছি, যাতে এই শিশুরা অনাহারে মারা না যায়। ম্যাডোনার এই আহ্বান এসেছে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপান এক যৌথ বিবৃতিতে সতর্ক করেছে, আমাদের চোখের সামনেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে । এদিকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা গত মাসে সতর্ক করে বলেছিলেন, দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি অবরুদ্ধ এলাকায় তৈরি হচ্ছে। তবে ইসরাইল গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা অস্বীকার করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া সাহায্য সংগ্রহ ও বিতরণ করছে না। গত মাসে গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্ক থিওফিলস তৃতীয়র সঙ্গে জেরুজালেমের সর্বোচ্চ ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা কার্ডিনাল পিয়েরবাতিস্তা পিজাবাল্লা গাজায় এক বিরল সফরে যান। গাজা সিটির হলি ফ্যামিলি চার্চে ইসরাইলি হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই এ সফর হয়েছিল। এটি গাজার শেষ ক্যাথলিক চার্চ, যেখানে ওই হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েকজন আহত হন।
সূত্র: বিবিসি




