ইরানকে হিজবুল্লাহপ্রধানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন
পোস্ট ডেস্ক :

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান নাঈম কাসেম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরানের অব্যাহত সহায়তার জন্য দেশটির এজনক শীর্ষ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গোষ্ঠীটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দশক ধরে শিয়া মুসলিম এই গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তেহরান। গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হিজবুল্লাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল—তাদের অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয় ও শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন।
কাসেম বুধবার বৈরুত সফরে আসা ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান আলী লারিজানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি লেবাননকে ও ইসরায়েলি শত্রুর বিরুদ্ধে দেশটির ‘প্রতিরোধে অব্যাহত সহায়তার জন্য’ ইরানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি লেবাননের ‘ঐক্য, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা’ রক্ষায় ইরানের সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং ‘লেবানন ও ইরানি জনগণের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের’ ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
লেবানন সরকারের সেনাবাহিনীকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়ার পরপরই লারিজানির সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।
হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাখার পক্ষে ইরানি কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য লেবাননের অনেক কর্মকর্তাকে ক্ষুব্ধ করেছে।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বুধবার লারিজানিকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেকোনো হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করি। কেউ বিদেশি সমর্থনকে হাতিয়ার বানিয়ে অস্ত্র বহন বা ব্যবহার করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালামও একই অবস্থান জানিয়ে বলেন, ‘লেবানন কোনোভাবেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না এবং ইরানের পক্ষ থেকে এ নীতিগুলোকে সম্মান জানাতে একটি পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি আশা করে।
’
লারিজানি বলেন, ‘প্রতিরোধকারীদের সঙ্গে পরামর্শ করে লেবানন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমরা তা সম্মান করি। যে আপনাদের জন্য পরিকল্পনা বানায়, হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে সময়সূচি পাঠায়—সেই হস্তক্ষেপ করছে। আমরা আপনাদের জন্য কোনো পরিকল্পনা দিইনি।’
তার এই মন্তব্য ছিল মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে, যারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য বৈরুতের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেছে এবং সময়সীমাসহ একটি বিস্তারিত প্রস্তাব পেশ করেছে।




