ভেনেজুয়েলা থেকে আসা জাহাজে মার্কিন হামলায় ১১ জন নিহত, ‘মাদক পাচারকারী’ দাবি ট্রাম্পের

Published: 3 September 2025

পোস্ট ডেস্ক :


প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি মাদক বহনকারী জাহাজে হামলা চালিয়ে ১১ জন ‘মাদক সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যে এই মার্কিন সামরিক অভিযানে ভেনেজুয়েলার গ্যাং ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্যদের টার্গেট করা হয়। ট্রাম্প বলেছেন, জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল।

 

ট্রাম্প প্রশাসন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। যার মধ্যে মাদক পাচারের অভিযোগে মাদুরোকে গ্রেপ্তারের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রাম্পের তরফে ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভেনেজুয়েলার যোগাযোগমন্ত্রী ফ্রেডি নানেজ কোনও প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন যে, ট্রাম্পের শেয়ার করা ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলার আশেপাশে একটি ‘মাদক বহনকারী জাহাজে গুলি চালিয়েছে। সেখানে প্রচুর মাদক ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা চলছে আমেরিকার। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকা। বর্তমানে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন সেখানে মোতায়েন রয়েছে, যেখানে রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ৫০০ সেনা।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন তার সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ শুরু করেছে আমেরিকা। ১ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দেশের শাসন ব্যবস্থা বদলের চেষ্টা করছে আমেরিকা।”

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য স্থানে বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন এবং অপরাধী গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ট্রেন ডি আরাগুয়া এবং আরেকটি ভেনেজুয়েলা দল, ‘কার্টেল অফ দ্য সানস’। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা, যাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশটির সামরিক বা গোয়েন্দা পরিষেবা থেকে এসেছেন।