আধুনিক যুদ্ধের জন্য ড্রোন কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএসএফ

Published: 4 September 2025

পোস্ট ডেস্ক :


পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রহরায় নিযুক্ত বিএসএফ ‘ড্রোন কমান্ডো’ ও ‘ড্রোন যোদ্ধাদের’ বিশেষ ইউনিটগুলোকে রিমোট-নিয়ন্ত্রিত আকাশযান প্ল্যাটফর্মের আধুনিক যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের মতো মিশনে বিএসএফের এই ইউনিটগুলোকে মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে বাহিনীর অফিসার প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী একটি ‘ড্রোন যুদ্ধের স্কুল’ উদ্বোধন করেন। স্কুল উদ্বোধনের পর বিএসএফ ডিজি প্রশিক্ষণার্থী অফিসারদের উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলেন। যেখানে অন্যান্য কিছু যুদ্ধের পাশাপাশি ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত কর্তৃক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্য সম্পর্কেও কথা বলেন বলে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বিএসএফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুলটি আধুনিক কৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। তিনি বলেন, ‘এই স্কুলে পাঁচটি বিশেষ কোর্সের মাধ্যমে ড্রোন কমান্ডো এবং ড্রোন যোদ্ধাদের প্রস্তুত করবে। মনুষ্যবিহীন বিমান বাহন অভিযান, ড্রোন বিরোধী যুদ্ধ এবং নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’

স্কুলটিতে সিমুলেটর, লাইভ ড্রোন ফ্লাইং জোন, ইউএভি, নাইট অপারেশনে পেলোড ইন্টিগ্রেশনের সুবিধা, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) জ্যামার এবং কাইনেটিক ইন্টারসেপ্টরের জন্য সরঞ্জাম, লিঙ্কযুক্ত হার্ডওয়্যার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সরঞ্জাম রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বিএসএফকে প্রতিদিন চীনে তৈরি পাকিস্তানি ড্রোনগুলোর মোকাবিলা করতে হয়। প্রতিদিন দেশের পশ্চিম দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার করে এসব সব ড্রোন।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডের অধীনে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ছাড়াও ২,২৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত (আইবি) এবং পূর্ব দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের ওপর ন্যস্ত রয়েছে।