মায়ের পরকীয়ায় জীবন গেল শিশুকন্যার
পোস্ট ডেস্ক :

এক টিনেজারের সঙ্গে নিজের মায়ের অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে ফেলায় ভারতের উত্তর প্রদেশে জীবন দিতে হয়েছে ৬ বছর বয়সী এক কন্যাকে। এ ঘটনা ঘটেছে সিকান্দ্রা রাউ পুলিশ স্টেশন এলাকায়। নিজের কন্যাকে হত্যা করার কারণে ওই নারী এবং তার এক টিনেজার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, উরবি (আসল নাম নয়) গত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিল। ওই সময় একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখান থেকে উরবি নিখোঁজ হওয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে একটি কুয়ার ভিতর তার মৃতদেহের সন্ধান মেলে। তাতে দেখা যায় তার গলায় কাপড় প্যাচানো। সে অবস্থায় তাকে একটি চটের ব্যাগে করে ফেলে দেয়া হয়েছে। লাশ তুলে ময়না তদন্ত করা হয়। এতে নিশ্চয়তা মেলে যে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এএসপি অশোক কুমার সিং বলেন, গ্রেপ্তার করা নারী ও একজন অল্প বয়সী বা টিনেজারকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে উরবি। এমন অবস্থা দেখে সহ্য করতে পারেনি সে। তার পিতার কাছে এ কথা বলে দেয়ার হুমকি দেয়। ফলে তার মা ও ওই টিনেজার তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। উরবির মায়ের বয়স প্রায় ৩০ বছর। তিনি স্বীকার করেছেন, প্রায় তিন মাস ধরে ১৭ বছর বয়সী একটি বালকের সঙ্গে তার পরকীয়অ সম্পর্ক চলছে। ঘটনার দিন তার স্বামী ও শাশুড়ি বাড়ি থেকে দূরে ছিলেন। এই ফাঁকে ওই বালকপ্রেমিককে তিনি ডেকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তারা অন্তরঙ্গ সম্পর্কে লিপ্ত হন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এমন সময় সেখানে হাজির হয় তাদের ৬ বছর বয়সী মেয়ে উরবি। তাকে সতর্ক করে দেন মা। কিন্তু সে তার পিতার কাছে সব বলে দেয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ওই মা ও তার প্রেমিক উরবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি বস্তার ভিতর ভরে ফেলে। এরপর একটি পরিত্যক্ত কুয়ার ভিতর নিক্ষেপ করে। এ অভিযোগে ওই নারী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উরবির মায়ের হাতে কামড়ের দাগ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, হত্যার সময় জীবন বাঁচাতে উরবি তার মাকে এভাবে কামড়ে দিয়েছিল।




