চলতি মাসের শেষ সাপ্তাহে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

Published: 9 September 2025

পোস্ট ডেস্ক :


আগামী ৩ সাপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখা দিচ্ছে আশার আলো। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজণীতিতে চলে আরো আসবে গতি। গণ মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিক তাদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন । দেশের এই ভাবি প্রধানমন্ত্রী দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেকে দেশের জন্য অনেকটা প্রস্তুত করে তুলেছেন। সব কিছু গোছগাছের প্রক্রিয়া চলছে ভেতরে বাহিরে। দলীয় নেতাকর্মীরাও তাদের নেতার দেশে ফেরার বিষয়টি এবার পুরোদমে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবায়দা রহমান আগামী ৩ সাপ্তাহের মধ্যে দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সূত্রটি জানায়, এ লক্ষ্যে অফিসিয়্যাল কার্যক্রমও তিনি ইতোমধ্যে সেরে ফেলেছেন।
সূত্রটি জানায়, তারেক রহমান দেশে যাওয়ার তারিখ ঘোষনা করলে লন্ডন থেকে কয়েকশ নেতাকর্মী তাঁর বহরে যুক্ত হয়ে দেশে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। দিন তারিখ প্রকাশ্যে এলে তারা তাঁর সঙ্গি হতে নেতার দারস্ত হবেন। তবে কত তারিখে তারেক রহমান দেশে যাচ্ছেন এ নিয়ে সূত্রটি নিশ্চিত করতে পারে নি।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র দাবি করেছে, এ মাসের শেষের দিকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরবেন। তবে তিনি এতোটা রাখডাক করে দেশে ফেরার পক্ষে নয় বলে তিনি দাবী করেছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান জনতার নেতা, তাই তিনি জনতার কাতারে দাঁড়াতে দেশে ফিরছেন।
তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের নির্বাচন নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। আদৌ কি সরকার দেশে নির্বাচন দিচ্ছে? না ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করার পায়তারা করা হচ্ছেে এ নিয়ে দলীয় ফোরাম থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। তারা তাদের নেতাকে সময়ে সময়ে বিষয়টি জানিয়ে দিচ্ছেন।
দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারাও তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ করে দেশের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরছেন উল্লেখ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র দাবী করেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রীয় ভাবেও এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গোয়েন্দারা সকল তথ্য প্রদান করছেন। শীর্ষ গোয়েন্দারা তার সাথে দেখা করে কিংবা কথা বলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষন করছেন। তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সময়ে সময়ে নানা সংকেত দিচ্ছেন। মাঠের খবর দিয়েই যাচ্ছেন তারা।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনকে ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সকল ধরণের সহায়তা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে হাই কমিশনের কর্তারাও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
২০০৮ সালের পর থেকে বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন । দুর্নীতি, ঘুষগ্রহণ, মানি লন্ডারিং, অবৈধ সম্পদ অর্জন, গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক অভিযোগে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হন। ২০০৭ সালের পর তার বিরুদ্ধে মোট ৮৪টি মামলা হয়। বিএনপি দাবি করে মামলা গুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, আদালত তাকে দণ্ডপ্রাপ্ত সকল অভিযোগ থেকে খালাস দেয় এবং তার সাজা বাতিল করা হয়। বর্তমানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বিচারাধীন নেই।