অসহায় নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

Published: 10 September 2025

পোস্ট ডেস্ক :


নেপালে চলমান সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী তথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জুরানা দেউবা বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হন। বিক্ষোভকারীরা কাঠমান্ডুর বুদানিলকণ্ঠায় দেউবার বাসভবনে ঢুকে পড়ে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, হামলার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে রক্ত ঝরছে। সেনাবাহিনী ও কর্তৃপক্ষ পৌঁছানোর আগেই দেউবা ও অর্জুরানার বাসভবন লণ্ডভণ্ড করে ফেলে বিক্ষুব্ধরা। ‘জেনারেশন জেড’ তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নেয়, যখন তারা কাঠমান্ডু ও অন্যান্য অঞ্চলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর শুরু করে। রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি, মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাসভবন ও সরকারি ভবন পর্যন্ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এমনকি দলীয় কার্যালয় ও থানা পর্যন্ত রেহাই পায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্বিক নিষেধাজ্ঞার পর দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়, তাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। তীব্র গণবিরোধিতার মুখে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পদত্যাগ করেন। পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয়- ‘কেপি চোর, দেশ ছাড়’ এবং ‘দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও।’ কাঠমান্ডুর রাস্তায় যুদ্ধাবস্থার মতো দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে তরুণ-তরুণীদের ছোট ছোট দল খোলা জায়গা দখল করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

স্লোগানে বলা হয়- সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করো। দুর্নীতি বন্ধ করো, সোশ্যাল মিডিয়া নয়। অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাওডেলকে কাঠমান্ডুর রাস্তায় তাড়া করে বিক্ষোভকারীরা। এক তরুণ ভিন্ন দিক থেকে দৌড়ে এসে লাফিয়ে লাথি মারলে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে একটি লাল দেয়ালে গিয়ে আছড়ে পড়েন। শুক্রবার সরকার ২৬টি নিবন্ধনহীন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়ার পর থেকেই ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ আটকে যায় ৩ কোটি মানুষের হিমালয় রাষ্ট্রটিতে।