রাশিয়ান হামলা ঠেকাতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন পোল্যান্ডের হাজারো সাধারণ মানুষ
পোস্ট ডেস্ক :

মস্কোর সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পর রাশিয়ান হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হওয়ায় হাজার হাজার পোলিশ বেসামরিক নাগরিক সামরিক প্রশিক্ষণে যোগ দিচ্ছেন। যদিও এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ড্রোনগুলো ভুলবশত পোল্যান্ডে ঢুকে পড়তে পারে। রাশিয়ারও দাবি, তাদের ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেন; পোল্যান্ড নয়। তবে এই ড্রোন অনুপ্রবেশকে পরিকল্পিত হামলা বলে আখ্যায়িত করে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক বলেন, এটা কোনো ভুল না, এটি রাশিয়ার পরিকল্পিত আক্রমণ।
পোল্যান্ডের সেন্ট্রাল মিলিটারি রিক্রুটমেন্ট সেন্টারের প্রধানের মতে, ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে ২০ হাজারেরও বেশি পোলিশ নাগরিক স্বেচ্ছাসেবী সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
এই বছর ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই এই যোগদান বেড়েছে। সামরিক পোশাকে, মুখে ক্যামোফ্লেজ রঙ মেখে ৩৬বছর বয়সী অ্যাগনিয়েসকা জেদ্রুসজাক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আমার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছু করে যেতে চাই। আমি অবশ্যই তাকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে চাই৷ সর্বদা আমার মনে একটা ভয় তাড়া করে বেড়ায়। এই বুঝি কিছু ঘটলো।’
নতুন বাস্তবকে ধীরে ধীরে মেনে নিতে শুরু করেছেন এই মা। ব্রানিয়েভোতে দক্ষিণ কোরীয় কে-২ ট্যাংকের প্রশিক্ষণ মাঠে জেদ্রুসজাকের মতো হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ২০২২ সালে এক বড় সামরিক সহযোগিতা চুক্তির অধীনে পোল্যান্ড ১৮০টি কে-২ ট্যাংক অর্ডার করেছিল। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পোল্যান্ড তার প্রতিরক্ষা ব্যয় অর্থনৈতিক উৎপাদনের ২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এই বছর ৪ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে। এটি ৩২ জাতির ন্যাটো জোটে সামরিক ব্যয়ের সর্বোচ্চ অনুপাত। সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুদ্ধে কাজ করার বাধ্যবাধকতা থাকে না। স্বেচ্ছাসেবকরা পেশাদার সামরিক চাকরি, টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সেস (ডব্লিউওটি) এ যোগ দিতে পারেন, অথবা সক্রিয় বা প্যাসিভ রিজার্ভের অংশ হিসেবে থাকতে পারেন।




