ইসরাইলের বোমা হামলায় ধ্বংস গাজার এতিহ্যবাহী মসজিদ

Published: 17 September 2025

পোস্ট ডেস্ক :


গাজার সুউচ্চ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরাইল। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোকে বোমা মেরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে দেশটি। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে- ইসরাইলি বোমার প্রবল আঘাতে মিনারসহ একটি মসজিদ প্রাঙ্গণ মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক খবরে বলা হয়েছে মঙ্গলবার গাজার ১৩ শতকে নির্মিত একটি পুরনো মসজিদে টার্গেট হামলা চালিয়েছে তেল আবিবের বিমান বাহিনী। এতে মসজিদটির উচু মিনারটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। মসজিদটি গাজা সিটির তুফফা এলাকায় অবস্থিত। এটি প্রায় সাড়ে সাতশ বছর আগে মামলুকদের দ্বারা নির্মিত একটি মসজিদ ছিল। স্থানীয়ভাবে মসজিদটির নাম আয়বাকি। যেটি গাজাবাসীর কাছে ইতিহাসের গৌরবের প্রতীক হিসেবে টিকে ছিল। মামলুকরা ছিল মিসরের ১২ শতকের শাসক। তারা বর্তমান গাজা সিটিতে মসজিদটি তৈরি করে। এটি মুসলিম নেতা শেখ আব্দুল্লাহ আল-আয়বাকির নামে নামকরণ করা হয়। তিনি মিসরের মামলুক সুলতানি শাসনের প্রথম সুলতান ইজ আল-দ্বীন আয়বেকের আত্মীয় ছিলেন।

২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হয়। গত দুই বছরে গাজার বহু পুরাকীর্তি ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে তেল আবিব। নতুন করে আবার নারকীয় হামলা শুরু করেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। সম্প্রতি গাজা সিটিতে হামলার মাত্রা তীব্র করেছে তারা। সেখানে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ইসরাইলবিরোধীতা তীব্র হলেও দখলদার দেশটি অপ্রতিরোধ্যভাবে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন গাজায় ইসরাইলি তাণ্ডবলীলার পেছনে মার্কিন মদদ রয়েছে। জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল।

প্রসঙ্গত, এর আগেও গাজার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি মসজিদে হামলা চালায় তারা। এতে ১৪০০ বছর পুরনো মসজিদটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এটি স্থানীয়দের কাছে ওমরি মসজিদ নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক খবরে বলা হয় যে, সেসময় পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় অন্তত ১০০০ মসজিদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এতে উপত্যকাটির বহু ইমামও প্রাণ হারিয়েছেন।