মৃত্যুর ২০ বছর পর পরিচয় শনাক্ত, অন্যরকম রহস্য
পোস্ট ডেস্ক :

মৃত্যুর ২০ বছর পর এক নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। আন্তর্জাতিক পুলিশি অভিযানে বের হয়ে এসেছে ওই নারীর পরিচয়। প্রায় দুই দশক আগে স্পেনের মাটিতে ওই নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে তখন তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এই বছরের শুরুতে ইন্টারপোলের সহায়তায় জানা গেছে, ওই নারী একজন রুশ নাগরিক। বয়স ৩১ বছর। নাম লিউদমিলা জাভাদা। মৃত্যুর পর বহুদিন নিখোঁজ থাকা নারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে এই নারী তৃতীয়। ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি ইনিয়েশেটিভ’ এর আওতায় এমন অজ্ঞাত মৃতদেহের পরিচয় অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে বিশ্বের প্রায় সব দেশের পুলিশই জড়িত আছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালে পুলিশের কাছে এমন কিছু নারীর নাম আসে, যাদেরকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হত্যা করা হয়েছে অথবা যাদের মৃত্যু রহস্যজনক বলে চিন্থিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রথম ঘটনাটি ছিল এক বৃটিশ নারীর। যাকে বেলজিয়ামে হত্যা করা হয়। এই ভুক্তভোগীর পরিবার তার শরীরের ট্যাটুর ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করে।
এসব মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার কাজে নিয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশিং এজেন্সি ইন্টারপোলের’ সহকারী প্রধান ভালদেসি ইউকুইজা বলেছেন, সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া নারীর পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে নতুন করে আশা তৈরি হয়েছে এবং তদন্তের ক্ষেত্রে নতুন সূত্রের হদিশ মিলেছে। তিনি বলেন, ২০ বছর পর আমরা একজন অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় খুঁজে পেয়েছি।
রুশ নাগরিক জাভাদার মৃতদেহ ২০০৫ সালের জুলাই মাসে উদ্ধার করে পুলিশ। স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বার্সেলোনা থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। তাকে তখন ‘গোলাপি নারী’ বলে চিন্থিত করা হয়। কারণ সেসময় তার গায়ের সকল পোশাক ও জুতা গোলাপি রঙয়ের ছিল। এখনও তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে এই নারীর মৃত্যু রহস্যজনক। তদন্ত বলছে, খুঁজে পাওয়ার অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে মৃতদেহটি স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তবে তখন তদন্তের মাধ্যমে জাভাদার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে গত বছর এই তদন্তের ভার পড়ে অপারেশন আইডেন্টিফাই মি- এর ওপর। যারা ইন্টারপোলের সহায়তায় এসব মামলার তদন্ত শুরু করে। সংস্থাটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহের ছবি, আঙুলের ছাপ জনসম্মুখে প্রকাশ করে। বিশ্বব্যাপী পুলিশের কাছেও এসব তথ্য দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বছরের শুরুতে তুর্কি পুলিশ জাভাদার পরিচয় শনাক্ত করেছে। তার শরীরের ডিএনএ নিকটতম এক রুশ আত্মীয়ের সঙ্গে মিলে যায়। পুলিশ এখন এই নারীর মৃত্যুর কারণ বের করার চেষ্টা করছে। তারা জানিয়েছে এই ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।




