ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১ হাজার শিক্ষার্থী
পোস্ট ডেস্ক :

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল থেকে দেয়া খাবার খেয়ে কমপক্ষে ১ হাজার শিশু অসুস্থ। পশ্চিম জাভার চিপঙ্কর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের প্রধান জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত অসুস্থ শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭১ জনে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে খাবারে বিষক্রিয়ায় ৮০০ শিক্ষার্থী অসুুস্থ হয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট প্রাবৌও সুবিয়ান্তো ওই নিউট্রিশন মিল কর্মসূচি চালু করেন। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়ায় বেসরকারি সংস্থাগুলো ওই খাদ্য কর্মসূচি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে পেট ব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এ সপ্তাহে ভুক্তভোগীদের খাবারে সয়া সস চিকেন, ফ্রায়েড টফু, সবজি ছিলো।
এর আগে শিক্ষার্থীদের মেয়াদউত্তীর্ণ সস দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। যাতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পুষ্টি সংস্থার প্রধান দাদান হিনদায়ানা বলেছেন, পুষ্টি পরিষেবা ইউনিটের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত সপ্তাহে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনাটি ঘটে। জাতীয় পুষ্টি সংস্থার মতে, চিপঙ্করে এসপিজির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ সপ্তাহের শুরুতে চিপঙ্করে গণহারে খাদ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। প্রথমে পাঁচজন অসুস্থ হলেও পরবর্তীতে ওই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭৫ জনে। বুধবার একই জায়গায় আরও ৫০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জাতীয় মাদকদ্রব্য সংস্থা (বিজিএন) জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ হাজার ৭১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। এর বেশিরভাগই জাভা দ্বীপে। তবে ওই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ান এডুকেশন মনিটরিং নেটওয়ার্ক (জেপিপিআই)। সংস্থাটির জাতীয় সমন্বয়ক উবায়েদ মাতরাজি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত সাময়িকভাবে ওই কর্মসূচি বন্ধ করা। কেউ কেউ নিয়ম পরিবর্তন করে সরাসরি পিতা-মাতাদেরকে অর্থ প্রদানের কথা বলেন। যাতে তারা তাদের সন্তানের জন্য খাবার প্রস্তুত করতে পারে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি স্বাস্থ্য, একাডেমিক কার্যক্ষমতা ও উপস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।




