পাকিস্তান ইস্যুতে বিশ্বকে সতর্ক করে কী বলল ভারত
পোস্ট ডেস্ক :

পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের’ বিষয়ে দেশগুলো চোখ বন্ধ করলে তার মূল্য একদিন তাদেরও দিতে হবে বলে শনিবার সতর্ক করেছে ভারত। পাকিস্তান সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জাতিসংঘে ভাষণের সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘আরো গভীর বৈশ্বিক সহযোগিতা’ দাবি করেন। সরাসরি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু এক প্রতিবেশীর কারণে স্বাধীনতার পর থেকেই এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারত।
দশকের পর দশক ধরে বড় বড় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার সূত্র সেই এক দেশেই খুঁজে পাওয়া গেছে।
আবারো নাম উল্লেখ না করে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষক দেশকে প্রশ্রয় দেয়, তারা একসময় বুঝবে—সেই সন্ত্রাসই ফিরে এসে তাদের আঘাত করবে।’
গত মে মাসে ভারত পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর আগে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থী বন্দুকধারীরা ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের হত্যা করেছিল, যাদের প্রায় সবাই ছিলেন হিন্দু।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারত ‘নিজেদের জনগণকে সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’
পাকিস্তান এ দায় অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘে শুক্রবার দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ভারত ‘অহংকার’ দেখিয়েছে এবং পাল্টা হামলায় ‘রক্তাক্ত নাক’ পেয়েছে।
শরিফ জাতিসংঘ সম্মেলনের আগে ওয়াশিংটন সফর করেন এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধানসহ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার আশা প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মে মাসের যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা খাটো করে দেখিয়েছেন এবং কাশ্মীর ইস্যুতে বাইরের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের নীতিতে অটল রয়েছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তান ট্রাম্পকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে বলেছে, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য। এর ফলে আফগানিস্তান যুদ্ধের দুই দশকে টানাপোড়েনের পর ইসলামাবাদ আবারও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে।
ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন এবং নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনার দিকেও আঙুল তুলেছেন।
জয়শঙ্কর তার ভাষণে বলেন, ‘ভারতকে একটি নির্দিষ্ট বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সংশোধন করতে হবে। এখন আমরা শুল্কের অস্থিরতা ও অনিশ্চিত বাজার প্রবেশাধিকার দেখছি। এর ফলে ঝুঁকি কমানো এখন ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা।’




