খাগড়াছড়িতে অবরোধ, আগুন, গুলিতে নিহত ৩
পোস্ট ডেস্ক :

ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। গতকাল দিনব্যাপী জেলা জুড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে টায়ার পুড়িয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এদিন গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৮ জন। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, গুইমারা থানার অফিসার্স ইনচার্জসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং ১২ পাহাড়ি রয়েছেন। বেলা ১টায় উপজেলার রামেসু বাজারে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। বাজারটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে।
ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে-
গত ২৩শে সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামে একজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ। ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনগুলো। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে ২৫শে সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে অর্ধদিবস সড়ক অবরোধের ডাক দেয় মারমা সমপ্রদায়ের একটি সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক উক্যনু মারমা নামে এক যুবক। আর এ অবরোধ সফল করতে এতে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি জানায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সহ তাদের অনুগত সহযোগী সংগঠনগুলো। অবরোধের নামে জেলা জুড়ে তাণ্ডব চালায় পিকেটাররা। যার রেশ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ: খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় গত শনিবার দুপুরে পৌর শহর ও সদর উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এ আদেশ জারির পরপরই পাহাড়ি-বাঙালি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকালে খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়ায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পাহাড়ি লোককে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ২ পাহাড়ি এবং ২৩ বাঙালিসহ ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ২৪ জন খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে, প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দেয় পাহাড়িরা। শনিবার রাতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে অবরোধের ডাক দেয় তারা।
গতকাল সকালে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় খাগড়াছড়ি শহর ও উপজেলা সদরে ৭ প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন রয়েছে। সকাল থেকে বন্ধ ছিল শহরের দোকানপাট ও হোটেল-মোটেল। শুক্রবার রাতে সাজেকে আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি পর্যটককে সেনা নিরাপত্তায় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়। অপরদিকে, সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালাসহ বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে টায়ার পুড়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে পিকেটাররা। এতে জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পিকেটার হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি সড়কে ব্যাপক নারীর উপস্থিতি দেখা যায়। পুলিশ, বিজিবি এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়িও আটকে রাখে নারী পিকেটাররা।
গুইমারায় যেভাবে সংঘর্ষে রূপ নেয়: আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি গুইমারা উপজেলা প্রশাসনও ১৪৪ ধারা জারি করে। গতকাল সকালে উপজেলায় রামসু বাজার এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে সেনাবাহিনী তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে পাহাড়িরা হামলা চালায়। এমন সময় কিছু দুষ্কৃতকারী ঘটনাস্থলে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে তিন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, গুইমারা থানার অফিসার্স ইনচার্জসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরও ১২ পাহাড়ি আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এর আগে, গত শুক্রবার দুপুরে নিপীড়নবিরোধী জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে মহাসমাবেশ শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা চালায় পাহাড়ি যুবকরা। খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সামনে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে গাড়ির চালক সেনাসদস্য আহত হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সেদিনের ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, একটি সেনাবাহিনীর গাড়ির দিকে ইটপাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে যায় পাহাড়ি যুবকরা। এসময় কোনো কারণ ছাড়াই তারা সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। এতে গাড়ির চালকের হাতে আঘাত লাগে এবং গাড়ির সামনের গ্লাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনা অত্যন্ত শান্তভাবে মোকাবিলা করে সেনাবাহিনীর ওই টিম। এরপর সড়কের পাশে থাকা মোটরসাইকেলের গ্যারেজে হামলা চালায় উপজাতি যুবকরা। এসময় গ্যারেজের বড়-ছোট টায়ার নিয়ে যেতে দেখা গেছে ভিডিওতে। এর আগে নিপীড়নবিরোধী জুম্ম ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে শোনা যায়। তারা সেনাবাহিনীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালও দেয়।
জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়
উদ্ভূত এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় পাহাড়ি-বাঙালি প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশাসনের দেয়া ১৪৪ ধারা মেনে যার যার ঘরে অবস্থান করতে পাহাড়িদের প্রতি আহ্বান জানান পার্বত্য উপদেষ্টা। এরপর বিকালে গুইমারায় সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এসময় সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এরই মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আপনাদের সবাইকে সংযত হতে হবে।
যা বললো জেলা প্রশাসন
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সন্ধ্যায় বলেন, খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করছে। নতুন করে যাতে আর কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তা পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আজ আমরা পার্বত্য উপদেষ্টা মহোদয় সহ মতবিনিময় করেছি। এতে পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে যার যার ঘরে অবস্থান করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জুম্ম ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-প্রধান তথ্য অফিসার/পরিচালক) ফয়সল হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন নিহত এবং মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না। সে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলো ইউপিডিএফ, আটকে দিলো বিজিবি
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি’র রাঙ্গামাটির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি)-এর আওতাধীন কুকিমারাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের তৎপরতায় গতকাল বিকালে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা সম্রাট পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৬৩০) তল্লাশি চালিয়ে ৫০০টি দেশীয় দা/চাপাতি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাসের চালক ও সহকারী স্বীকার করেছে, প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সংগঠনের নির্দেশে খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় সহিংসতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্র পরিবহন করা হচ্ছিলো। বিজিবি জানায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্র, বাস ও সংশ্লিষ্ট তথ্য আইনগত ব্যবস্থার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে চেকপোস্টে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্য কর্তৃক বান্দরবান হতে রাঙ্গামাটিগামী সম্রাট পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে আনুমানিক ৫০০টি দেশীয় অস্ত্র (দা/চাপাতি) মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে ওই বাসের চালক মো. শুক্কুর আলী ও চালকের সহকারী মো. সাব্বিরকে আটক করা হয়। চালক শুক্কুর আলী রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার রিজার্ভ বাজার এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র। চালকের সহকারী সাব্বির একই এলাকার মো. ইউসুফের পুত্র।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসসহ আটক করা হয়। অবৈধ অস্ত্র পরিবহনের দায়ে এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য বাসের চালক ও সহকারীকে কাপ্তাই থানা পুলিশ কর্তৃক জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে থানার ওসি জানান।
কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিজিবি সর্বদা সজাগ। যারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়, বিশেষত ইউপিডিএফসহ সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং অস্ত্রগুলোর উৎস ও পরিকল্পিত ব্যবহার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। এদিকে, খাগড়াছড়িতে মারমা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অবরোধের নামে খাগড়াছড়ি জুড়ে ব্যাপক সহিংসতা চালায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইউপিডিএফের সহিংস কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে। বিজিবি’র এ সফল অভিযানকে সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।




