জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৪ মামলা আসামি ৯০০
পোস্ট ডেস্ক :

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেয়া ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে কয়েকটি অভিযোগে করা মামলাগুলো মধ্যে একটি মামলার বাদী ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য, বাকি তিনটি মামলার বাদী থানা পুলিশ। সংরক্ষিত এলাকায় জোরপূর্বক প্রবেশ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও নিয়ন্ত্রণকক্ষ পোড়ানোর অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, আর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক।
তিনি বলেন, চার মামলার সব আসামিই অজ্ঞাত, সবমিলিয়ে অন্তত ৮০০-৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির কোনো রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে সে অনিষ্টকারী, সে হামলাকারী। সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পর এ বিষয়ে জানা যাবে।
‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভের পর সকালে প্রাচীর টপকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন শতাধিক ব্যক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে কয়েকশ’ মানুষ এ অবস্থান নেন। পুলিশ কর্মকর্তা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা রাত থেকে তাদের অনেক বোঝানোর পরও তারা সরছিলেন না। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।
শুক্রবার দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেয়ার পর অবস্থানকারীরা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। তারা ভাঙচুর করেন পুলিশের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও সড়কে টায়ার, কাঠ জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশক’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর বৃষ্টির মধ্যে বিকালের আগে পরিস্থিতি শান্ত হয়।




