ব্রিটিশ রাজপরিবারে নতুন সংকট
পোস্ট ডেস্ক :

ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্প্রতি নতুন এক বিতর্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ খেতাব ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, প্রিন্স অ্যান্ড্রু এখনো প্রিন্স পদবিতে থাকবেন।
প্রিন্স অ্যান্ড্রু এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার বিরুদ্ধে চলমান অভিযোগগুলো রাজপরিবারের কাজকে বিপদের সম্মুখীন করছে।
আমি তাই এখন একটি পদক্ষেপ এগিয়ে যাচ্ছি। আর এখন থেকে আমি আমার খেতাব বা সংবর্ধনা ব্যবহার করব না। অ্যান্ড্রুর প্রাক্তন স্ত্রী ৬৬ বছর বয়সী সারা ফার্গুসনও তার ‘ডাচেস অব ইয়র্ক’ খেতাব হারিয়েছেন এবং এখন থেকে তিনি শুধুমাত্র তার আসল নামেই পরিচিত হবেন। যদিও তাদের দুই মেয়ে, রাজকন্যা বিট্রিস ও ইউজেনি রাজকুমারী উপাধি অক্ষত রাখবেন।
বহু বছর ধরে সারা ‘ডাচেস অফ ইয়র্ক’ খেতাবটি ধরে রেখেছিলেন, সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণে একাধিক দাতব্য সংস্থা থেকে পৃষ্ঠপোষকত্ব হারানোর পর এ পদক্ষেপটি তার ওপর তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজকীয় ভাষ্যকাররা বলছেন, এ খেতাব হারানোর চেয়ে এপস্টাইন বিতর্ক তার ওপর বেশি প্রভাব ফেলেছে।
অ্যান্ড্রুর দুই মেয়ে বিট্রিস (৩৭) ও ইউজেনি (৩৫) এখন রাজপরিবারের সদস্য নয়, তবে তারা রাজকন্যা পদবিতে রয়েছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের রাজপরিবার থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজা চার্লসের পরিবার ও উত্তরাধিকার সূত্রে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আগামী ক্রিসমাসে প্রিন্স অ্যান্ড্রু রাজপরিবারের সঙ্গে যোগ দেবেন না, কিন্তু তার মেয়েরা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বিতর্কে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে নিজেই প্রিন্স অ্যান্ড্রু, যিনি রাজকীয়তার বিলাসিতার সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে এই পদবির অবনতি তার জন্য কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া প্রিন্স অ্যান্ড্রুর এই পদক্ষেপ ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্মান ও ভাবমূর্তির রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।




