নেপালের রাস্তায় তরুণ প্রজন্ম, কারফিউ জারি

Published: 20 November 2025

পোস্ট ডেস্ক :


সিপিএন-ইউএমএল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরদিন বৃহস্পতিবার আবারও রাস্তায় নেমেছে নেপালের জেন-জি তরুণ প্রজন্ম। তাদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দেশটির সিমরা নামক এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সকাল ১১টা থেকে তরুণরা সিমরা চৌকসহ বিভিন্ন সড়কে জড়ো হতে থাকলে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে প্রশাসন কারফিউ জারি করে। সহকারী প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিরামান সুবেদী জানান, বেলা পৌনে ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সিমরায় কারফিউ বলবৎ রয়েছে। এ খবর দিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আগের দিনের সংঘর্ষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাদের আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। পরে অবশ্য জিতপুর-সিমরা উপমহানগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ধন বাহাদুর শ্রেষ্ঠ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন আনসারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবারের সংঘর্ষে ছয় তরুণ আহত হন। ইউএমএলের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও সবাইকে গ্রেপ্তার না করায় আন্দোলন পুনরায় শুরু হয়েছে বলে জানান তরুণ জেলা সমন্বয়ক সম্রাট উপাধ্যায়। বুধবার দিনভর তরুণ এবং ইউএমএল কর্মীদের সংঘর্ষে সিমরার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। সিমরা বিমানবন্দরের কাছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য স্থগিত রাখতে হয়।

ইউএমএল কয়েক দিন ধরেই বুধবার পারওয়ানিপুরে ‘যুব জাগরণ অভিযান’ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দলটির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখরেল এবং পলিটব্যুরো সদস্য মহেশ বসনেতের সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাঠমান্ডু থেকে সিমরায় এসে সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
এর আগের দিন রাতেই সম্রাট উপাধ্যায় ফেসবুক পোস্টে তরুণদের সিমরায় বিক্ষোভে অংশ নিতে আহ্বান জানান। তিনি তৎকালীন সরকারকে ‘খুনি সরকার’ হিসেবে আখ্যা দেন। তার এ পোস্টটি পুরো জেলায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে, যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উদ্বেগ বাড়িয়েছে।