ডিবি হেফাজতে যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু
পোস্ট ডেস্ক :

রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক মো. মোক্তার হোসেন নামে এক আসামির ডিবি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপি’র এই মুখপাত্র বলেন, গত সোমবার মিরপুর-১২ নম্বর সেক্টরের সি ব্লকের বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি নামে একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়ার মাথা, বুক ও পিঠে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গুলি করে পালানোর সময় জনি এক সন্ত্রাসীকে জনতা আটক করে পুলিশে দেয়। এই ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করেন নিহতের কিবরিয়ার স্ত্রী। ওই মামলার প্রেক্ষিতে পল্লবী থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে এবং এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি মো. মোক্তার হোসেন নামে আরেকজনের কাছে রয়েছে বলে জানায়। সেই তথ্য মতে, মোক্তারকে আটক করতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কৌশলে তাকে আটক করা হয়। ওই সময় উত্তেজিত জনতা তাকে কিল-ঘুসি মারে। পরবর্তীতে মোক্তারের দেখানো মতে পল্লবী এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে ডিবি।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোক্তারকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মোক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিছু ওষুধপত্র দিয়ে মোক্তারকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেন। পরে তাকে আবারো ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাতভর ডিবি কার্যালয়ে থাকার পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খাবার খাওয়ার জন্য মোক্তারকে ডাকাডাকি করা হলে তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। সকালে আবারো তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মোক্তারকে মৃত ঘোষণা করে।




