ভিসা জালিয়াতি করলে বৃটেনে ১০ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
পোস্ট ডেস্ক :

বৃটেনের ভিসা জালিয়াতি তথা অবৈধ পথে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টার শাস্তি হবে ১০ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা- এমন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বৃটিশ সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাল ভিসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বৃটেন এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। বিবৃতিতে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন- ভিসা জালিয়াতি সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ধ্বংস করে। সেই সঙ্গে পরিবারগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। অপরাধমূলক এ কাজে সহায়তাকারীরা মানুষের উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করেন, তাদের অর্থ চুরি করে গুরুতর ক্ষতির ঝুঁঁকিতে ফেলেন। ভিসাপ্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার জানান, শুধু সরকারি চ্যানেল ব্যবহার করে সঠিক রুটের মাধ্যমে বৈধ ভিসা আবেদনগুলো স্বাগত জানায় তার দেশ।
যারা জালিয়াতির চেষ্টা করবেন তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। অপরাধী ও প্রতারকদের প্রতারণামূলক কার্যকলাপের ফলে প্রতি বছর লাখ লাখ পাউন্ডের ক্ষতি হয় এবং বাংলাদেশসহ বিশ্ব জুড়ে দুর্বল মানুষেরা শোষণ, আর্থিক ক্ষতি ও আইনি পরিণতির ঝুঁকিতে পড়েন। বিশ্বব্যাপী ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ অভিবাসন সুবিধা প্রদান উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং অপরাধী চক্রগুলো সম্ভাব্য ভিসা আবেদনকারীদের প্রতারিত করতে ক্রমবর্ধমান পরিশীলিত কৌশল ব্যবহার করছে। প্রায়শই অতিরিক্ত ফি’র বিনিময়ে নিশ্চিত ভিসা, যথাযথ যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি বা দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় ভুক্তভোগীদের। বাস্তবতা হলো- প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিবর্তে হয় আর্থিক ক্ষতি, ভিসা প্রত্যাখ্যান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সবচেয়ে খারাপ ক্ষেত্রে পাচার ও শোষণ।




