ছক অনুযায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ

Published: 26 January 2021

পোস্ট ডেস্ক : সিরিজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা হলো, সবই ছক অনুযায়ী। চিত্রনাট্যের বাইরে কিছুই করার ছিল না কুশীলবদের। চট্টগ্রামে সোমবার তৃতীয় ওডিআইতেও সেই একই মঞ্চায়ন। বাংলাদেশ ২৯৭/৬ করার পর নির্ধারিত হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ্য-হোয়াইটওয়াশ।


এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঢাকার মতো ধুঁকতে ধুঁকতে শেষতক ১৭৭ রানে অলআউট। ক্যারিবীয়দের ১২০ রানে হেরে যাওয়াটা নিয়তি নির্ধারিত। আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশ জিতবে, সিরিজ হবে ৩-০-সবই হয়েছে চিত্রনাট্য অনুযায়ী।

করোনাকালে নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজে সব লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ। তিন জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগে অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসাও বড় প্রাপ্তি।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই সিরিজসেরা সাকিব আল হাসান। তিন ম্যাচে ছয় উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১১৩ রান করেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

তবে কাল শেষ ম্যাচে বোলিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে সাকিবের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়া চিন্তায় ফেলে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সাকিবের চোট বাদে বাকি সবই হয়েছে মনের মতো।

বাংলাদেশের জন্য তিন উল্লাস। শুধু তামিম ইকবালের চাওয়া মতো বাংলাদেশের কেউ সেঞ্চুরি করলে সোনায় সোহাগা হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরিজ জয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক বার্তায় তিনি খেলোয়াড়, কোচ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান। ভবিষ্যতেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সিরিজে প্রথম ব্যাট করে স্বাগতিকরা তিনশ ছুঁইছুঁই পুঁজি পায় চারটি ফিফটির সৌজন্যে। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ তিনজনের সমান ৬৪ রানের সঙ্গে যোগ হয় সাকিব আল হাসানের ৫১।
তামিম-সাকিবের ৯৩ রানের জুটির পর শেষের দিকে তেড়েমেরে ব্যাট করে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ শেষ ১০ ওভারে তোলেন ১০০ রান।

তাতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওডিআইতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। সাকিব (৮১ বলে ৫১) ও মুশফিকের (৫৫ বলে ৬৪) পার্টনারশিপ ৪৮ রানের।
মাহমুদউল্লাহ নিজের ২২তম ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করেন কভারের ওপর দিয়ে ছয় মেরে। উইন্ডিজের শুরুর দিকে ভালো বোলিং শেষমেশ ভেস্তে যায় বাংলাদেশের চার সিনিয়রের ফিফটিতে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড (২২১) গড়ার দিনে মুশফিকই হয়েছেন ম্যাচসেরা। বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

৫১ রানে তিন উইকেট নেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১২২ ও ১৪৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে দেড়শ ছাড়াতে পারলেও গোটা সিরিজে ফিফটি নেই কোনো ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের।
কাল সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে রভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে। ওয়ানডে সিরিজের ভরাডুবির পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে উইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই দেখার।

৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই শুরু হবে প্রথম টেস্ট। তার আগে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ক্যারিবীয়রা।