গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুনে আহত ৩৫

Published: 11 February 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা : গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার টেপিরবাড়ীর এএসএম কেমিক্যাল লিমিটেড নামক কারখানার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড প্লান্টের বিস্ফোরণ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত।

এতে কারখানার অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেলেও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আহতরা ওই কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় আহত ওই কারখানার সাপ্লাইম্যান মো. টুটুল, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, অপারেটর আবির হোসেন, রোকুনুজ্জামান, কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম, ইসহাক, সুজা উদ্দিন, সিলভেস্টা, আশরাফুল, মনির ও আমিনুলকে উন্নত চিকিৎসার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আশপাশের কারখানা, বসতবাড়ি, দোকানপাটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় কারখানার বাইরেও অনেকেই আহত হয়েছেন।

কারখানার আহত অপারেটর আবির হোসেন জানান, বিকাল সাড়ে ৪টায় কারখানার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড প্লান্টে বিকট শব্দে কিছু একটা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো প্লান্টে। তবে হতাহতের সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।

কারখানার প্রধান ফটকের সামনের মুদি দোকানি মোফাজ্জল হোসেন জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে আশপাশ কেঁপে উঠে। এ সময় আতঙ্কে আশপাশে লোকজন ছোটাছুটি করে। মুহূর্তেই কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে কারখানার আশপাশ। এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সবার মাঝে।
কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে কারখানায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্লান্টে আগুন লাগে। আহত শ্রমিকদের যাবতীয় চিকিৎসা কারখানার পক্ষ থেকে বহন করা হবে। তাৎক্ষণিক আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, আগুন লাগার খবরে প্রথমে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আগুনের ভয়াবহতা বেশি হওয়ায় জয়দেবপুর, টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ভালুকাসহ মোট আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। তবে হতাহতের সংখ্যা ও আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।