শি জিনপিং’র শরীরে একটিও গণতান্ত্রিক হাড় নেই : বাইডেন

Published: 27 March 2021

পোস্ট ডেস্ক : চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘তার শরীরে কোন গণতান্ত্রিক হাড় নেই।’ তিনি ছিলেন ‘স্মার্ট লোক’।

কিন্তু তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এই বিশ্বাসে ভুগছেন যে আধুনিক বিশ্বের নানা জটিলতার মুখে “স্বৈরতন্ত্রই ভবিষ্যতে টিকবে এবং গণতন্ত্র কার্যকর করতে পারে না”। আসলে একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধটা হলো গণতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে। আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে গণতন্ত্রই কার্যকর। চীন যতই গোটা বিশ্বের উপর একাধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করুক না কেন তা কখনোই সত্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্র সেটি হতে দেবে না। রাষ্ট্রপ্রধানের পদে আসার পর বৃহস্পতিবার তার প্রথম একক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনকে এভাবেই বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়-
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে তার কথা হয়েছে জানিয়ে বাইডেন বলেন, আমরা চীন এবং তারা যে ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে সে বিষয়ে কথা বললাম। আমি পরামর্শ দিলাম যে আমাদের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোরও একই ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত যাতে বিশ্বের সমস্ত গণতান্ত্রিক সম্প্রদায় সহায়তা পায়।

অন্যদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়-হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে চীনের সামগ্রিক লক্ষ্য রয়েছে।
কিন্তু সেটি হচ্ছে না। কেননা যুক্তরাষ্ট্র বাড়তেই থাকবে।

বাইডেন জানান, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীনকে ছাপিয়ে যেতে আগামী দিনে এসব ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের আগ্রাসী নীতিকে কোণঠাসা করতে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে তাদের জোট আরও মজবুত করার দিকেও বিশেষ নজর থাকবে তার। সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চীনের অবস্থান বিশ্বের সামনে তুলে ধরাও হবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য। চীনের লাগাম টেনে ধরতে বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে একটি শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করার ইচ্ছের কথা এদিন আবারো পোষণ করেন বাইডেন।