পুতিন-বাইডেন মুখোমুখি
পোস্ট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পাল্টাপাল্টি।
এবার কূটনীতিক বহিষ্কার নিয়ে এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছে। প্রথমে রাশিয়ার ১০ জন কূটনীতিককে ত্রুটিপূর্ণ কর্যকলাপের জন্য বহিষ্কার করে ওয়াশিংটন। তার প্রতিশোধ নিতে রাশিয়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন কূটনীতিককে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এর একদিন আগে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন সরকার। তার জবাবে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ নির্দেশ দিয়েছে। যদিও দ্রুততার সঙ্গে মস্কো এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবু আলোচনার দরজা উন্মুক্ত থাকবে।
পুতিন-বাইডেন সামিটে আলোচনার প্রস্তাব রয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এখনই সময় যুক্তরাষ্ট্রের শুভবুদ্ধি উদয়ের। একই সঙ্গে সংঘাতময় অবস্থা থেকে তাদের ফিরে আসা উচিত। এর অন্যথা হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বেদনাদায়ক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন অপশন রয়েছে তাদের কাছে। একই সঙ্গে রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোরে কূটনীতিকের সংখ্যা কমিয়ে মাত্র ৩০০ তে নামিয়ে আনা হবে।
উল্লেখ্য, শীতল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক মারাত্মক খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কিলার বা খুনি বলে আখ্যায়িত করেন। এর জবাবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য তলব করে মস্কো। এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ওই রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাননি। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জন সুলিভানেরও উচিত দেশে ফিরে গিয়ে পরামর্শ করা।
ওয়াশিংটন বলছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন এবং অন্যান্য ত্রুটিপূর্ণ কর্মকা-ের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ইমেইলে বলেছে, শুক্রবার রাশিয়া যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা উস্কানিমুলক এবং নিন্দনীয়।