খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা

Published: 3 May 2021

বিশেষ সংবাদদাতা :


করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে হাসপাতালটির কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হেসেন।

সোমবার (০৩ মে) রাত সাড়ে ৭টায় হাসপাতালে বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে এসে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সকালের দিকে তিনি একটু শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। তার চিকিৎসার দায়িত্বে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উনাদের সিদ্ধান্তে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করেন। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। উনি দেশবাসীর কাছে উনার রোগমুক্তি ও সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

শ্বাসকষ্টের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন রোগীর যেকোন সময় যেকোন মুহূর্তে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে ঠিক কি কারণে হয়েছে সেটি জানার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ফল হাতে পেলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে। ডা. জাহিদ বলেন, সিসিইউতে যেহেতু আছে বলা যায় স্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট। আমি নিজেও উনার সাথে সিসিইউতে দেখা করে কথা বলেছি, উনি কেমন অনুভব করছেন জানতে চেয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা বলতে পারি স্থিতিশীল।

এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়া হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন।

গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের ওই হাসপাতালে ভর্তির পরদিনই তার জন্য ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’আসে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ারে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষা করার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়।

জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় বন্দী ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যেই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপরই গত বছর ২৫ মার্চ দন্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।