মালির অভ্যুত্থানের কড়া নিন্দা
পোস্ট ডেস্ক :
সামরিক অভ্যুত্থানে আটক মালির প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও, প্রধানমন্ত্রী মোকতার উয়ানে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলায়মান ডোকুরে’কে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও তার মন্ত্রীপরিষদ পুনর্গঠন করে তা থেকে দু’জন সেনা সদস্যকে বাদ দেয়ার পর এই অভ্যুত্থান হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে রাজধানী বামাকোর কাছে কাতি সামরিক ঘাঁটিকে আটক করে রেখেছে সেনারা। এ ঘটনায় মালিতে জাতিসংঘের মিনুসমা মিশন পরিস্থিতিকে শান্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে আটক নেতাদের মুক্তি দাবি করেছে। সোমবার এসব নেতাকে আটক করার আগে প্রধানমন্ত্রী মোকতার উয়ানে বার্তা সংস্থা এএফপিকে ফোন করে জানান, তাকে তুলে নিতে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়েছে। এরপরই তার ফোনের লাইন কেটে যায়। এ ঘটনায় আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব শর্ত ছাড়াই এসব শীর্ষ রাজনীতিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার মন্ত্রীপরিষদ পুনর্গঠন করেন প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও।
গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন এমন দু’জন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা ছিলেন প্রেসিডেন্টের আগের মন্ত্রীপরিষদে। কিন্তু রদবদল করে গঠিত মন্ত্রীপরিষদ থেকে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়। এ খবর প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। এর মধ্য দিয়ে মালিতে মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে আবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলো। ৯ মাস আগের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করে প্রেসিডেন্ট বুবকর কেইতা’কে। বিবিসির আফ্রিকা বিষয়ক সম্পাদক উইল রোজ বলছেন, প্রেসিডেন্ট বুবকর কেইতা’র বিদায়কে মালির বহু মানুষ স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারে সেনাবাহিনীর আধিপত্যের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ ছিল। প্রতিশ্রুত সংস্কারের গতিও ছিল ধীর।