সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন
নৌকার প্রার্থী হাবিবের নিজের আয় নেই!

Published: 26 June 2021

সিলেট অফিস :

সিলেট-৩ আসনে প্রতিক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। ফেঞ্চুগঞ্জ-দক্ষিন সুরমা-বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে এই আসন। এখানে নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। তারা নির্বাচন কমিশনে তাদের তথ্য প্রদান করেছেন। কোন প্রার্থী কী রকম অবস্থানে রয়েছেন তা নিয়ে বাংলা পোস্টের বিশেষ আয়োজন :

সিলেট -৩ আসন উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসরাইল হোসেন বলেন, বিধান অনুযায়ী মনোনয়ন ফরমের সাথে সংযুক্ত করে প্রার্থীদের মোট সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে হলফ করে প্রার্থীর স্বাক্ষরসহ হলফনামা জমা করা হয়েছে। এতে কোন তথ্য গোপন করলে আইন অনুযায়ী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে। কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে ভোট গ্রহণের পরেও অভিযোগ করা যায়। এমনকি এ বিষয়ে কেউ তথ্য-প্রমাণসহ আদালতেও যেতে পারবে।

হাবিবুর রহমান হাবিব : সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে মনোনয়ন বৈধ হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। বুধবার দুপুরে সেই অভিযোগের শুনানি শেষে হাবিবের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এদিকে- নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীতা বৈধ হওয়ার পর নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন- ‘সকল বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন দ্বৈত নাগরিত্বের প্রমাণ না পাওয়ায় আমার প্রার্থিতা বৈধ বলে জানিয়েছে।’

আপিলকারী জাতীয়পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক জানিয়েছেন- তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন। এবং তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব স্নাতক পাশ। হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে অতীতে কোন ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়নি। পেশায় ব্যবসায়ী হাবিব প্রবাসী পল্লী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। তার নিজের আয় নেই। কৃষিখাত থেকে স্ত্রীর বছরে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা আয় হয়। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের নামে নগদ ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে নগদ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩০ টাকা রয়েছে। নিজ নামে ৫২ হাজার ২৪৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। নিজের নামে রয়েছে ৩ হাজার ৫০০ শেয়ার, যার মূল্য ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। নিজের নামে পূর্বাচলে ৭ কাঠার প্লট রয়েছে, যার মূল্য ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

যৌথ মালিকানায় তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড’র নামে ঋণের পরিমাণ হচ্ছে- ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। তিনি দক্ষিণ সুরমার ধরগাঁও রাজাবাড়ির (পার্ট) বাসিন্দা।