ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইয়াসির শাহ

Published: 12 January 2022

পোস্ট ডেস্ক :


পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইয়াসির শাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন এক কিশোরী। তবে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এই লেগি। পাকিস্তানের সাংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামাবাদ শালিমার পুলিশ ইয়াসিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি। অভিযোগকারী ওই কিশোরী মামলা থেকে ইয়াসিরের নাম তুলে নিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, মামলায় ইয়াসিরের নাম ভুলভাবে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ইয়াসির শাহ। তিনি বলেন, ‘পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবকিছুই এখন স্পষ্ট। আমি এখন পুরোপুরি খেলায় মনোযোগ দিতে পারবো।

এই অভিযোগের কারণে আমার অনেক সমস্যা হচ্ছিল। যার প্রভাব পড়েছিল খেলাতেও।’
গত ডিসেম্বরে ইয়াসির শাহ এবং তার এক বন্ধু ফারহানের বিরুদ্ধে শালিমার পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরীর আন্টি। মামলায় বলা হয়, ইয়াসিরের বন্ধু ফারহার বন্দুকের ভয় দেখিয়ে কম বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেছেন। কাউকে কিছু বললে ওসব ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় তাকে। মামলায় দাবি করা হয়, ইয়াসির শাহ ওই পুরো ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ফারহানকে।
মামলার এজহারে উল্লেখ রয়েছে, তিনি (কিশোরী) পুলিশের কাছে যেতে চাইলে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন ইয়াসির। তার ভাষ্য, ‘যখন আমি হোয়াটস অ্যাপে পুরো বিষয়টি ইয়াসিরকে জানালাম সে এটাকে মজা হিসেবে নিলো এবং আমাকে বললো তার নাকি অল্প বয়সী মেয়ে ভালো লাগে। ইয়াসির বলেছিল সে খুব প্রভাবশালী একজন এবং তিনি উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাকে চেনেন।’ কিশোরী এটাও দাবি করেন যে, ইয়াসির এবং ফারহান কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করতেন।
মামলায় আরো বলা হয়, অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য ইয়াসির ভিকটিমকে চাপ দিতে থাকেন। ব্যাপারটা পুলিশকে জানাতে চাইলে, ইয়াসির তাকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার প্রস্তাব করেন এবং জানান ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার সকল ব্যয়ভার বহন করবেন। ওই ঘটনায় বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছিল তারা। ইয়াসির নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার খবর পিসিবি’র জন্যও তাই স্বস্তি নিয়ে এসেছে।