বিটকয়েন মারফত ৪.৫ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার দম্পতি

Published: 9 February 2022

পোস্ট ডেস্ক :


এফবিআই মঙ্গলবার সকালে একজন দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ- তারা ভার্চুয়াল কারেন্সি এক্সচেঞ্জ বিটফাইনেক্সের ২০১৬ হ্যাক থেকে চুরি করা ক্রিপ্টোকারেন্সি পাচার করার ষড়যন্ত্র করেছিল।

আইন প্রয়োগকারীরা ইতিমধ্যে হ্যাকের সাথে সংযুক্ত ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি জব্দ করেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের হাতে ধরা পড়া সবথেকে বড় আর্থিক তছরুপের ঘটনা এটি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকো একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি অপরাধীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল নয়। ম্যানহাটনের বাসিন্দা বছর চৌতিরিশের ইলিয়া লিচটেনস্টাইন এবং তার ৩১ বছরের স্ত্রী হিদার মরগান উভয়কেই মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার সময় ফেডারেল আদালতে তোলা হয়৷ ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই দম্পতির বিরুদ্ধে ১,১৯,৭৫৪ বিটকয়েন পাচারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে, যা ২০ হাজারটিরও বেশি অননুমোদিত লেনদেনের মাধ্যমে চুরি হয়েছিল। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, সেই সময়ে বিটকয়েনে লেনদেনের মূল্য ছিল ৭১ মিলিয়ন, কিন্তু মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন এটির মূল্য ৪.৫ বিলিয়নের বেশি।

ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়ার ইউএস অ্যাটর্নি ম্যাথু গ্রেভস বলেছেন, এফবিআই এবং ফেডারেল প্রসিকিউটররা এই হ্যাক থেকে বিটকয়েনের গতিবিধি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে, এতো বড় মূল্যের অর্থ একটি বড় ডার্কনেট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছে যা আরো অনেক অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত। ক্রিপ্টোকারেন্সির ঠিকানাগুলি থেকে শিশুদের ওপর হওয়া যৌন নির্যাতনের একাধিক উপকরণ মিলেছে ।

এই ধরনের সাইবার অপরাধ আটকাতে ইতিমধ্যেই আমেরিকায় জাতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এনফোর্সমেন্ট টিম চালু করা হয়েছে যা অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং এবং সাইবারসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত। সাইবার অপরাধীরা যারা কোম্পানি, পৌরসভার সাইটে কিংবা ব্যক্তিগত সাইটে ransomware দিয়ে আক্রমণ করে তারা প্রায়ই ক্রিপ্টোকারেন্সি আকারে অর্থ প্রদানের দাবি করে।

গত বছর একটি হাই-প্রোফাইল ঘটনা সামনে এসেছিল। ইউএস ইস্ট কোস্টের পাইপলাইনে ব্যাপক গ্যাসের ঘাটতি সৃষ্টি করতে ransomware গ্রুপ REvil-এর প্রাক্তন অংশীদার এবং সহযোগীরা ডার্কসাইড নামক একটি এনক্রিপশন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেছিল ।বিচার বিভাগ পরে ২.৩ মিলিয়ন ক্রিপ্টোকারেন্সি মুক্তিপণ হিসেবে উদ্ধার করে যা হ্যাকারদের দেয়া হয়েছিল ।