বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি : খোলা হয়েছে ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র

Published: 30 May 2024

।। এম.হাসানুল হক উজ্জ্বল।।


বিয়ানীবাজারে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তলিয়ে যায় বিয়ানীবাজারের কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। অসংখ্য ঘরবাড়ী বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। সরকারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি দুর্গত মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাত এসব এলাকায় হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। অনেকের ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে গবাদি পশু ও পুকুর-খামারের মাছ। এ অবস্থায় দিশেহারা ও আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে খুঁজে ছুটছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষজন।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন। সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আরো দূর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছেন। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দুবাগ ইউনিয়নের পাঞ্জিপুরী গ্রামের ১৫টি পরিবারের ৬০জন লোক কুশিয়ারা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। দূর্গত মানুষের সহায়তায় জন্য ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।