সিলেটে পানি নামলেও বাড়ছে দুর্ভোগ

Published: 22 June 2024

পোস্ট ডেস্ক :


সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে। বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর পানি। তবে নগরের অধিকাংশ জায়গা এখনো তলিয়ে আছে। পানি কমলেও মানুষ এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। এতে করে দুর্ভোগে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রমতে, সিলেটে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার দু’টি নদীর চার পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবগুলো পয়েন্ট দিয়ে শুক্রবারের চেয়ে কম পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে আজ সকালে যথাক্রমে ১৫ সেন্টিমিটার ও ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।

সেখানে বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, সিলেট নগরের ১৩ ওয়ার্ডের ৩০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। নগরের ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। জেলার ১৩ উপজেলার ১০৭ ইউনিয়নের ৯ লাখ ৪৮ হাজার ২২৩ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, পানি নামার ধীরগতি থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে লোকজন তেমনভাবে যাচ্ছেন না। মেয়রের মতে, আরও দু’দিন বৃষ্টি না হলে বাড়ি ফিরতে শুরু করবেন।

এদিকে, সিলেট নগরের কিছু এলাকার মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। বাড়িতে ফেরার পরিবেশ ফিরলেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকায় মানুষের আসবাবপত্র সব ভিজে গিয়েছে। এছাড়া, জেলার কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট এবং সিলেট সদরের উপরের অংশে পানি নামছে। এখনো এ চার উপজেলায় ৭-৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। এসব উপজেলায় পানি নামলেও বাড়িতে ফেরার পরিস্থিতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। গোয়াইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষদের রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। যারা বাড়িতে অবস্থান করছেন তাদেরকে সরকারি ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। তবে তারা সরকারি চাল পেলেও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংকটে রয়েছেন।
এদিকে, সিলেটের জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এ উপজেলাগুলোতে এখনো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পোঁছানো হচ্ছে। যারা আশয়কেন্দ্রে আছেন তাদের রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।