তাকসিম এ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিশেষ সংবাদদাতা :
ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত ৬০ দিনের জন্য তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তাকসিমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আবেদনের শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, তাসকিম এ খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তাকসিম আহমেদ খান দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশে গমন ঠেকানো আবশ্যক।
জনস্বার্থে তাকসিমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেন আইনজীবী।
শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদেশে আদালত বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার দাখিল করা আবেদন ও অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আবেদনটি মঞ্জুরযোগ্য মর্মে প্রতীয়মান হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আদেশ দেওয়ার তারিখ থেকে তার বিদেশ গমনে ৬০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় মেয়াদ বাড়িয়ে আর পদ ছাড়তে হয়নি তাকসিম এ খানকে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে কারণে সপ্তমবারের মতো ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পান।
সব শেষ গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে আরও তিন বছরের জন্য তাকসিম এ খানের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এরপর থেকে তিনি সপ্তমবারের মত মেয়াদ বাড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আর নিজ কার্যালয়ে আসেননি। গা ঢাকা দিয়ে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। তিনি কোথায় আছেন তা জানেন না ঢাকা ওয়াসার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
১৯৯৬ সালের ওয়াসা অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত হয় ঢাকা ওয়াসা। এ আইনে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন এমডি। ওয়াসা বোর্ডের প্রস্তাব বা সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এমডি পদে নিয়োগ দেয় সরকার।