‘ভিক্ষা করব না’ মুচলেকা দিয়ে এবার হজে যেতে হবে পাকিস্তানিদের

Published: 24 November 2024

পোস্ট ডেস্ক :


সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানি নাগরিকেরা। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ সৌদি। এবার হজের আগে ইসলামাবাদকে কড়া নোটিস পাঠিয়েছে তারা। সেখানে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান যেন মক্কায় কোনও ভিখারি না পাঠায়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবার কঠোর ব্যবস্থা চালু করেছে পাক সরকার। এই নোটিসকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না পাকিস্তান। কেননা সৌদি আরব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যদি এর পরও একই পরিস্থিতি থাকে তাহলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি দেখা দিতে পারে। আর তাই হজযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করেছে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে অন্যতম, মক্কা যাওয়ার আগে মুচলেকা দিতে হবে সেখানে গিয়ে ভিক্ষা না করার। এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, পাক প্রশাসনের তরফে সৌদিকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ৩০০ ভিখারিকে এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলবে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যারা দল বেঁধে হজে যেতে ইচ্ছুক, তাদেরই অনুমতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব ট্রাভেল এজেন্সি হজ যাত্রীদের নিয়ে যায়, তাদেরকেও বলা হয়েছে প্রত্যেক পাকিস্তানি হজযাত্রীর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়ার জন্য।

পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের ঠেকাতে গত মে মাসে আইন জারি করে সৌদি সরকার। আইনে বলা হয়, পূর্ব অনুমতি ছাড়া কাউকে হজ পালন করতে মক্কা আসতে দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে কেউ এলে তাকে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে এবং তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ইতিমধ্যে অবৈধভাবে ওমরাহ ভিসা সহজতর করার জন্য সন্দেহভাজন ট্রাভেল এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। জানা গেছে যে বেশ কয়েকটি সংস্থা ভিক্ষার জন্য ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে লোক পাঠানোর সাথে জড়িত। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি চারটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে যারা এই অবৈধ অনুশীলনে জড়িত ছিল।