পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়ার হুমকি ট্রাম্পের
পোস্ট ডেস্ক :
পানামা খাল দিয়ে যাওয়া আমেরিকান জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত এবং আটলান্তিক মহাসাগরকে সংযুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চীনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় এবং অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।’
যুক্তরাষ্ট্র মূলত ১৯১৪ সালে খালটি তৈরি করেছিল এবং কয়েক দশক ধরে এর আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন যৌথ প্রশাসনের সময়কালের পর ১৯৯৯ সালে খালের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে পানামার হাতে তুলে দেয়। আটলান্টিককে প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে সংযুক্তকারী খালের চারপাশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এটি শুধুমাত্র পানামার পরিচালনার জন্য ছিল, চীন বা অন্য কারো নয়। আমরা এটা ভুল হাতে পড়তে দেবো না এবং দেবো না। এটি অন্যদের সুবিধার জন্য দেয়া হয়নি, কেবল আমাদের এবং পানামার সাথে সহযোগিতার চিহ্ন হিসাবে দেয়া হয়েছিল। যদি দানের এই মহৎ অঙ্গভঙ্গির নৈতিক ও আইনগত নীতিগুলি অনুসরণ করা না হয়, তবে আমরা দাবি করব পানামা খালটি আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে এবং প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেয়া হোক।’
পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো ট্রাম্পকে দৃঢ়ভাবে এর জবাব দিয়েছেন। মুলিনো সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, পানামা খালের প্রতিটি বর্গ মিটার এবং আশেপাশের এলাকা পানামার অন্তর্গত এবং তা অব্যাহত থাকবে।
খালের ওপর চীন বা অন্য কোনো দেশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে বলেও তিনি অস্বীকার করেন। খালটি পানামার অর্থনীতির চাবিকাঠি এবং সরকারের বার্ষিক রাজস্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশর যোগান দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি।