তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫

Published: 7 January 2025

পোস্ট ডেস্ক :


চীনের তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬২ জন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাতসে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুসারে তিব্বতের শহর শিগাতসে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলিমোটিার। ভূমকম্পের পর সেখানে বেশ কয়েকটি আফটারশকও অনুভূত হয়েছে। পাশ্ববর্তী নেপাল এবং ভারতের কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থিত হওয়ায় ওই অঞ্চলে প্রায়শই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।

তিব্বতের অন্যতম পবিত্র নগরী হিসেবে বিবেচিত হয় শিগাতসে। এটি পঞ্চেন লামার ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান। এই ব্যক্তি বৌদ্ধধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগুরু। দালাই লামার পরেই তার অবস্থান। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৮। এতে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ভবন ধসে পড়ার দৃশ্য দেখা গিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে চীনা বিমান বাহিনী। এ লক্ষ্যে তারা সেখানে ড্রোন পাঠিয়েছে। যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে সেখানের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ ও পানি উভয়ই বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

নেপালের এভারেস্টের কাছে অবস্থিত নামচে অঞ্চলের স্থানীয় এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নেপালে ভূমিকম্প অনুভূত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিবিসি বলছে, এখনও হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের একটি প্রধান ফল্ট লাইনের কাছে অবস্থিত চীনের ওই অঞ্চলটি ঘন ঘন ভূমিকম্পের শিকার হয়। ২০১৫ সালে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে ৭.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি আহত হয়।