বৃটিশ মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক

Published: 4 February 2025

পোস্ট ডেস্ক :


বাংলাদেশ সফররত বৃটিশ মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি’র দুই নেতা। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি’র পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এলেনর স্যান্ডার্সের সঙ্গে বৃটিশ সরকারের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি জেনেভাও উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে সোমবার থেকে বুধবার ঢাকা ও কক্সবাজারে ৩ দিন ব্যস্ত কর্মসূচীতে কাটাবেন মানবাধিকারবিষয়ক বৃটেনের রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্স।

ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি বৃটেনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার লক্ষ্যে মিজ স্যান্ডার্সের ঢাকায় এটি প্রথম সফর। হাইকমিশনের তথ্য মতে,সফরকালে বৃটিশ দূত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি মানবাধিকার দূত সরকারের উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা, মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করবেন। রাষ্ট্রদূত এলেনর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকারবিষয়ক একটি সেমিনারে অংশ নেবেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেমিনারে রাষ্ট্রদূত এবং শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণসহ মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন।

সফরকালে তিনি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে খাদ্য বিতরণ, মহিলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম এবং এলপিজি বিতরণসহ যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো তদারকি করার জন্য কক্সবাজারে যাবেন।

রাষ্ট্রদূত এলেনর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের জন্য জবাবদিহিতা জোরদার করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিসের জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন তহবিল ঘোষণা করবেন। সফর বিষয়ে এলেনর স্যান্ডার্স বলেন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বুটেন দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে, যা মানবাধিকারের পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তিনি আরও বলেন, আমার সফরের মাধ্যমে, আমরা জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা এবং শ্রম অধিকারের মতো বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলোতে বৃটেন-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও জোরদার করার আশা রাখি। ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, আমি বৃটেনের মানবাধিকার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে বৃটেনের গভীর বন্ধুত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত তৈরিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতির আরেকটি উদাহরণ।