৩২ নম্বর বাড়ি

৩২ নম্বর বাড়ি
বই, টিন ও কাঠসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে

Published: 6 February 2025

পোস্ট ডেস্ক :


রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা চলছে। বাড়িটির পেছনে উত্তর দিকে ছয়তলা ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। ভবনটির ভেতর থেকে বই, স্টিল, লোহা, টিন ও কাঠসহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।অনলাইনে বেস্টসেলিং বই কিনুন

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ভাঙচুরের মুখে পড়েছে বাড়িটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিন দেখা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। ভাঙা ভবনের পাশে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। কিছু মানুষকে শেখ মুজিবুর রহমানের উপর লেখা বিভিন্ন বই ও ডকুমেন্টারি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এখন মূলত ভবনে পড়ে থাকা আসবাবপত্র ও শেখ মুজিবের উপর ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের লেখা বইগুলো নিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হয়। পলাতক অবস্থায় তার এই বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়াদের মাঝে। দিনেই ঘোষণা দেয়া হয় শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের সময় ধানমন্ডির ৩২ এর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। রাত আটটার দিকে দলে দলে শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ মানুষ ধানমন্ডি-৩২ এর দিকে যেতে থাকেন। ফটক ভেঙে শিক্ষার্থী ও জনতা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদের কেউ কেউ হাতে থাকা লাঠি ও ভারি বস্তু দিয়ে স্থাপনার বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করেন।অনলাইনে বেস্টসেলিং বই কিনুন

লোহার জিনিস খুলে নিতে দেখা যায় কাউ কাউকে। বাড়ির সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ম্যুরালটিতে ভাঙচুর করা হয়। রাত নয়টার দিকে ভবনের একটি অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী-জনতা বাড়ির ভেতরে এবং বাইরে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের কেউ কেউ ‘মুজিববাদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মুজিববাদের আস্তানা বাংলাদেশে হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’ এমন স্লোগান দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অভ্যুত্থানের দিনেই শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাসস্থান ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে এই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক এই বাসস্থান সর্বশেষ ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে পরিচিত ছিল।