রংপুরে নাহিদের চাঁদা দাবির ভিডিও ভাইরাল

Published: 2 March 2025

পোস্ট ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের বিরুদ্ধে বালু মহাল থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতনরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাহিদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর গ্রীন সিটি ইকোপার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের কথোপকথন শোনা যায়। এতে নাহিদকে বলতে শোনা যায়, আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে। আপনি কথা বলেন, যদি আপনার মনে হয় একটু ইয়া করবেন, একটা সংগঠন করতে গেলে কি করতে হয় আপনি তো জানেন। এ হচ্ছে কথা। আমি চাচ্ছি না আপনার কোনো সমস্যা হোক। যদি আপনাদের দিক থেকে মনে হয় কোনো সমস্যা হচ্ছে, তাহলে আপনি ভাইয়ের (পার্ক কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে কথা বলেন। আপনাদের গলায় পাড়া দিয়ে আমি কিছু করতে পারবো না। পার্ক ম্যানেজার এক লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলেন। এ সময় নাহিদ তাদের আরও সময় নেয়ার কথা বলেন। শনিবার সকালে এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার বলেন, আমি পার্কে গিয়ে সরজমিন দেখেছি সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। আমি ভিডিও করে বিষয়টি সংগঠনের আহ্বায়ককে জানাই। সেইসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই। আমার উপস্থিতি দেখে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বেলাল নামে এক ব্যক্তি নগরীর শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টারে আসতে বলে। আমি সেখানে গেলে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে টাকার অফার করেছিল যা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। আমি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাহিরে মিটিং আছে বলে চলে আসার চেষ্টা করেছি। আমরা যেন তাদের ব্যবসায় হাত দিতে না পারি সেজন্য আমার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে এআইয়ের মাধ্যমে ভিডিও করে।

এ ব্যাপারে গ্রীন সিটি ইকোপার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন বলেন, আমার পার্কে পুকুর তৈরিতে খনন কার্যক্রম চলছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। যা ভিডিওতে রয়েছে। এ ছাড়া তার চাঁদা দাবির অনেক কলরেকর্ড আমার কাছে রয়েছে, যা দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হবে। এমন চাঁদাবাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতো সংগঠনে থাকতে পারে না।