ট্রাম্পের শুল্ক ‘মেডিসিন’, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

Published: 7 April 2025

পোস্ট ডেস্ক :


রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে অস্থিরতার মুখে পড়েছে বিশ্বের বাণিজ্য খাত। আর এই শুল্ক আরোপকে ‘মেডিসিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্ক ‘মেডিসিন’ বিশ্ব অর্থনীতিতে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে। এদিকে ট্রাম্পের ওই শুল্ক নীতির সবচেয়ে বাজে প্রভাব পড়েছে এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোতে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। শুধু এশিয়া নয় খোদ আমেরিকার শেয়ার মার্কেটের অবস্থাও শোচনীয়। মার্কিন শেয়ার মার্কেটের ভবিষ্যতও এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, রোববার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ার মার্কেটগুলোতে যে ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন নন তিনি। সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় ফেরার সময় সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি চাই না কোনো কিছুর ক্ষতি হোক। তবে কখনও কখনও কিছু বিষয় ঠিক করার জন্য আপনাকে ‘মেডিসিন’ খেতে হয়। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইতমধ্যেই তার সঙ্গে এশিয়া এবং ইউরোপের নেতাদের কথা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তারা আশা রেখেছেন যে, এ সপ্তাহের মধ্যেই ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কমাতে রাজি হবেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তারা আলোচনার টেবিলে আসছে। তারা এখন আলোচনা করতে চায়। কিন্তু বছরের হিসেবে আমারা প্রচুর অর্থ না পেলে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।

গত সপ্তাহে রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল কম্পন শুরু হয়েছে। তার শুল্ক আরোপের বিপরীতে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এতে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে ঘুরে ফিরে কয়েকটি প্রশ্নের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। সেগুলো হচ্ছে- ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ কি বহাল থাকবে, নাকি শাসনকে স্থায়ী করতে এটি নয়া কোনো কৌশল, নাকি অন্যান্য দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। এ বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে বিনিয়োগকারী এবং রাজনৈতিক নেতারা বেশ চাপে পড়েছেন।

রোববার সকালের টকশোতে ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টারা এই রিসিপ্রোকাল ট্যারিফকে বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, গত বুধবার ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর থেকে অর্ধশতাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছে। ট্রাম্পের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, শুল্ক দিন এবং সপ্তাহের জন্য বহাল থাকবে।