ইতিহাসে প্রথমবার নারীপ্রধান পেল চার্চ অব ইংল্যান্ড

Published: 3 October 2025

পোস্ট ডেস্ক :


ক্যান্টারবেরির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন সারাহ মুলালি। কারণ ক্যান্টারবেরির প্রায় ৫০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে আর্চবিশপের ভূমিকা দেওয়া হল। একইসঙ্গে আর্চবিশপ হওয়ায় মুলালি বিশ্বজুড়ে থাকা ৮ কোটি ৫০ লাখের মত অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানের অলঙ্কারিক প্রধানও হলেন। এই ভূমিকায় তার প্রথম ভাষণে, মুলালি তার পূর্বজদের ধন্যবাদ জানান। তবে একজন নারীকে এ পদে আনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে থাকা রক্ষণশীল চার্চগুলোর সঙ্গে চার্চ অব ইংল্যান্ডের ধর্মতাত্ত্বিক বিভাজন আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হল। ১১ বছর আগে সূচিত সংস্কারের পথ ধরে আর্চবিশপ পদে নারীদের আনার পথ সুগম হয়েছিল। ক্যান্টারবেরির ১০৬তম আর্চবিশপ হিসাবে নাম ঘোষিত হওয়ায় মুলালি বৃটিশ জনজীবনের সর্বশেষ সেই ক্ষেত্রগুলোর একটির নেতৃত্ব পেলেন, যেখানে আগে কেবল পুরুষদেরই প্রধান হিসেবে দেখা গেছে।

নতুন পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মুলালি আজ ক্যান্টারবেরি ক্যাথেড্রালকে বলেছেন যে চার্চের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার মোকাবেলা করা সহজ হবে না। তবে একইসঙ্গে স্বীকার করেছেন যে তিনি ইতিমধ্যেই একটি “সাংস্কৃতিক পরিবর্তন” দেখছেন। তার কথায় ঘৃণা এবং বর্ণবাদ আমাদের আলাদা করতে পারবে না। এই নতুন ভূমিকা একটি ‘বৃহৎ দায়িত্ব’ হলেও তিনি ‘শান্তি ও ঈশ্বরের ওপর আস্থা’ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। ৬৩ বছর বয়সী মুলালি একসময় নার্স ছিলেন। ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে তিনি ইংল্যান্ডের প্রধান নার্সিং কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি চার্চগুলোতে একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ সংস্কৃতি তৈরি করার পক্ষে কাজ করছেন, যেখানে ভিন্নমত ও মতভিন্নতার স্থান থাকবে।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও প্রথম নারী আর্চবিশপের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড আমাদের দেশের জন্য গভীর গুরুত্ব বহন করে। এর গির্জা, ক্যাথেড্রাল, স্কুল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নতুন আর্চবিশপ জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।