বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা ভিডিও প্রচার : ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত

Published: 12 December 2020

আব্দুর রব, বড়লেখা : বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যরাতে ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও প্রচারের প্রতিবাদে শনিবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আন্দোলনের ডাক দেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান ঘটনাকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে সংশ্লিষ্টরা তা স্থগিত করেন। পরে হাসপাতাল সভাকক্ষে প্রশাসন ও জনপ্রতনিধির সাথে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, জনৈক নাজমুল ইসলাম বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন নারী রোগীকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক ওই রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন ও কাউন্সিলিং করেন। এরপরও নাজমুল ইসলাম ফেইসবুক লাইভে নারী চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে অশালীন আচরণসহ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন পোর্টালে ভাইরাল হয়। মিথ্যা অভিযোগের ভিডিও ভাইরালে দেশে-বিদেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথা স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল, চিকিৎসক ও নার্সদের সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্টরা কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসুচির ডাক দেন।

শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক-নার্সদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় ঘটনার তীব্্র নিন্দা জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান আগামী ২ দিনের মধ্যে ঘটনাকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন-কর্মসুচি স্থগিত করা হয়। এসময় থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস, আরএমও ডা. শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, জনৈক নাজমুল ইসলাম ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলা ভিডিও ভাইরাল করেন। এতে হাসপাতাল ও চিকিৎসক-নার্সদের মারাত্মক সম্মানহানী হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় ন্যায় বিচারের দাবীতে তারা আন্দোলনের ডাক দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও আগামী ২ দিনের মধ্যে ঘটনাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় কর্মসুচি স্থগিত করা হয়।