অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে কী করবেন?

Published: 31 December 2020

অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা আছে। যাদের এই সমস্যা আছে অনেকসময় তাদের হঠাৎ করেই শরীরের কিছু স্থানে চাকাচাকা ফুসকুড়ি বের হয়।কখনও সেই স্থান লাল হয়ে ফুলেও ওঠে। আবার কিছুক্ষণ ভোগান্তির পর ঠিক হয়ে যায়। আবার যখন তখন চুলকানিও হয়। এ ধরনের সমস্যা ঘন ঘন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়াও অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

টি-ট্রি অয়েল : টি-ট্রি অয়েলও ত্বকের অ্যালার্জিতে দূর করতে দারুণ উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। ত্বকের লালচেভাব এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে টি-ট্রি অয়েল দারুণ কাজ করে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার : অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাধারণত ওজন কমাতে এবং হজমজনিত সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয়। তবে এতে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড ত্বকে চুলকানি এবং অ্যালার্জির প্রভাবও কমায়। কিন্তু সংবেদনশীল ত্বকে এর ব্যবহার ঠিক নয়।

অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতে এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার তুলার সাহায্যে কার্যকর জায়গায় এই মিশ্রণটি লাগান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে দিনে অন্তত দু’বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

নারকেল তেল : নারকেল তেল ত্বকের যত্নের জন্য সেরা । এতে থাকা ময়েশ্চারাইজিং অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। শুধু তাই নয়, নারকেল তেল অ্যালার্জির কারণে চুলকানিও কমায়। এজন্য একটি বাটিতে সামান্য নারকেল তেল নিন এবং ৫ সেকেন্ডের জন্য গরম করুন। তারপর অ্যালার্জির লক্ষণ আছে এমন জায়গায় ওই গরম তেল লাগান। তবে মনে রাখবেন, এ্যালার্জি আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল শুধু লাগাবেন, ম্যাসাজ করবেন না। এভাবে এক ঘন্টা রেখে দিন। ৩-৪ ঘন্টা পর পর নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যা কমাবে।

অ্যালোভেরা জেল : অ্যালোভেরার ওষধি গুণাগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। অ্যালোভেরা বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরা ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়। এটি ব্যবহারে ত্বক জ্বালা ভাব এবং চুলকানি কমে। চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে কিছুটা তাজা অ্যালোভেরা নিয়ে ত্বকে লাগান। যদি অ্যালোভেরা না থাকে তবে জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এতে উপকার পাবেন।

বেকিং সোডা : ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা রান্নাঘরের এমন একটি জিনিস যা ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করে। তবে এটি ব্যবহার করার সময় কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। এটি ত্বকে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন- ত্বকে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে প্রথমে এক চামচ বেকিং সোডা নিন এবং এতে সামান্য পানি যোগ করুন। একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি অ্যালার্জির জায়গায় লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে দিনে ৩-৪ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।