মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
সিলেটে চলছে জমজমাট ঈদ বাজার 

Published: 9 May 2021

সিলেট অফিস :

প্রবাসীদের রেমিটেন্সের উপর ভর করে সিলেটে শুরু হয়েছে জমজমাট ঈদ বাজার। করোনাভাইরাসকে পাত্তা না দিয়েই চলছে পুরুষ মহিলা আর শিশুদের অবাদ বিচরণ। মার্কেটগুলোতে তিল ধারণের ঠাই নেই।

এদিকে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকের শাখাগুলো এখন জমজমাট। কোন ধরণের স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে সকল কারবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রকম অবস্থা হিতেবিপরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আশংকা করছেন, একদিকে সরকারের কঠোর লকডাউন আর অপর দিকে মানুষের অবাদ চলাফেরার সুযোগ করে দিয়ে সরকার মানুষকে বিপদে ফেলার পথ বাতলিয়ে দিয়েছে। যার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউ বাংলাদেশে আসতে পারে। আর এই তৃতীয় ঢেউ দেশের মানুষের জন্য মহা বিপদ বয়ে আনবে বলেও বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

সিলেটসহ সারাদেশে শপিং মল ও দোকানপাট খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার শর্ত দেয়া হলেও তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সিলেট নগরীর প্রতিটি শপিংমল ও দোকানপাটে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনার সংক্রমণের আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। সিলেট নগরীতে সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনার সময়ে শপিংমলে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে।

ক্রেতারা বলছেন, তারা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্ত বাজারে অস্বাভাবিক ভিড় থাকায় তা মানা যাচ্ছেনা। অন্যদিকে অধিকাংশ বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের পাশাপাশি মাস্ক পরিধান না করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে সিলেট নগরীর, কাপড়, কসমেটিকস ও জুতার দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতাদের অনেকে একে অপরের সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রেতাদের মাস্ক ও গ্লাভস নেই। কেউ মাস্ক পরলেও তা নাক ও মুখের বাইরে থুতনিতেই ঝুলিয়ে রাখছেন।

এ নিয়ে বেশ কিছু ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, বাজারে মানুষের ভিড় আর গরমে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সবাই মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার করছেন না। এমন হলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।

সিলেট অভিজাত মার্কে ট গুলোর ব্যবসায়ীরা বলেন, লকডাউনের কারণে এমনিতেই গত বছর থেকে লোকসান গুনে আসছেন। এ জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তারা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদেরও উৎসাহিত করেন তা মানার জন্য। তবে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল দোকান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা তা মেনে না চললে তাকে জরিমানার আওতায় আনা হবে।