আবারো উত্তপ্ত কোম্পানীগঞ্জ, ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা
বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা :
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামীকাল থেকে এই ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেন। লাইভে তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত। এ সময় লাইভে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ডুয়েল রোল প্লে করছেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জু। তিনি কাদের মির্জা ও তার বাহিনীর গ্রেপ্তার দাবি করেন। উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রওনা করেন। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০ জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হন। এ সময় কাদের মির্জার তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০ জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতিরোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়, পা ও বুকের হাড় ভেঙ্গে দেয় এবং কানে গুরুত্বর জখম করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের জানান, হামলায় বাদল বুক, হাত, পা, মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে হামলার পরপরই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে তার কর্মী সমর্থক ও অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে। শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ ঘটনায় কাদের মির্জার সম্পৃক্ততার অভিযোগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিচার দাবি করে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এসময় তারা কাদের মির্জার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।