কঠিন পরিক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন ইংল্যান্ডের জনগণ

Published: 18 July 2021

পোস্ট ডেস্ক :

সোমবার থেকে ইংল্যান্ডের নাগরিকদের নিয়ে একটি পরীক্ষা শুরু করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এতে আমরা দেখতে পাবো, কোভিডে সংক্রমণ যখন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন একটি জনবহুল দেশ যদি লকডাউন তুলে নেয় তাহলে তাড়া কীভাবে মহামারির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। বরিস জনসনের পক্ষে ফলাফল যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কারণ, দেশটির পূর্নবয়স্ক নাগরিকদের বেশিরভাগই এখন দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এই ভ্যাকসিনের কারণে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরেও হাসপাতালে ভর্তির হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। দেশটিতে কোভিডে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এ সংখ্যা এখনো বাড়ছে। যদিও এখন আমাদের কাছে ¯পষ্ট প্রমাণ আছে যে, ভ্যাকসিন আমাদেরকে কোভিডের তীব্র উপসর্গ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেও ব্যাপক মাত্রায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

যদিও লকডাউন উঠে যাচ্ছে শুধু ইংল্যান্ড থেকে। থাকছে না মাস্ক পরার কোনো বাধ্যবাধকতা। বাইরে বা ঘরের মধ্যে কতজন মানুষ একত্র হতে পারবেন তার সীমাবদ্ধতা উঠে যাচ্ছে। নাইটক্লাব ও স্টেডিয়ামগুলো পুরোপুরি ভরার অনুমতি দেয়া হবে। তবে এনএইচএস যদি তাদের অ্যাপের মাধ্যমে কাউকে নোটিফিকেশন পাঠায় তাহলে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করাদের কার্যত আর কোনো বাধা নিষেধই থাকছে না।

ইংল্যান্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশটির প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার জনকে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে এনএইচএসের অ্যাপ। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও এখন আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে। সাজিদ জাভিদের সঙ্গে দেখা হয়েছে এমন আরও কয়েকজনের কাছে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে আছেন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকও।
এরইমধ্যে লকডাউন বাতিল করাকে ‘বড় জুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। গণমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগেও বরিস জনসন এই মহামারি নিয়ে জুয়া খেলেছেন।

গত বছরের ২রা ডিসেম্বর লকডাউন বাতিল করে দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন একটি সাধারণ বড় দিনের। কিন্তু কম সময়ের ব্যবধানেই তাকে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছিল। ২০২০ সালের গ্রীষ্মেও একবার তিনি ভ্যাকসিন আসার আগেই নাগরিকদের উৎসাহিত করেছিলেন পাব ও রেস্টুরেন্টগুলোতে যেতে।
এবারের লকডাউন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জনসন। তিনি জানান সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক।

যে কোনো সরকারই এ সময় লকডাউনের পক্ষে থাকবে। কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। জনসন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইংলিশদের বহু প্রতিক্ষিত ‘ফ্রিডম ডে’ প্রদান করার সময় এসেছে। সামনে গ্রীষ্মের ছুটি ও স্কুলের বড় বন্ধ আসছে। জনসন বলেন, যদি আমরা এখন সব খুলে না দেই তাহলে আমরা আর কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবো?