উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার মেয়ে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি যুবককে

Published: 7 October 2022

পোস্ট ডেস্ক :

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী সংগঠন উলফার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও জেনারেল সেক্রেটারি গোলাপ বড়ুয়া ওরফে অনুপ চেটিয়ার কন্যা বন্যা বড়ুয়া (২৭) বিয়ে করেছেন বাংলাদেশি যুবক অনির্বাণ চৌধুরীকে। সম্প্রতি আসামের ডিব্রগড় জেলায় চাবুয়া বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত জেরাই গ্রামে বর ও কনের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার ভারতীয় পত্রিকা ডেকান হেরাল্ডসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আসামের সংবাদপত্র অসমীয়া প্রতিদিন তাদের বিয়ে খবর জানায়।

অসমীয়া প্রতিদিনের খবরে অনুপ চেটিয়ার বরাতে জানানো হয়, বাংলাদেশের কুমিল্লার ছেলে অনির্বান চৌধুরী (৩০) বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাস করছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর মেলবোর্নের ইসকন মন্দিরে বরপক্ষের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ডেকান হেরাল্ড জানায়, বরের বাসা ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডিতে। অনুপ চেটিয়া যখন বাংলাদেশের জেলে বন্দি ছিলেন তখন তার মেয়ে বন্যা বড়ুয়া পড়াশোনা করতেন ঢাকার মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। সেখানেই সহপাঠী অনির্বান চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। তখন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) বিদ্রোহ একেবারে চরম পর্যায়ে। বন্যা-অনির্বানের প্রেম চলতে থাকে সাত বছর ধরে।

ভারতের আসামের গণমাধ্যম অসমীয়া প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুপ চেটিয়া বলেন, ‘ঢাকার ধানমন্ডির মাস্টার মাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়ার সময় তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ কারণে আমরা বিয়েতে মত দিয়েছি।

অনুপ চেটিয়ার মেয়ের বিয়ের খবরটি শুক্রবার আসামের গণমাধ্যমগুলোত গুরুত্বের সঙ্গে ছাপানো হয়। দ্য আসাম ট্রিবিউন-এ সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘উলফা লিডার অনুপ চেটিয়াস ডটার ম্যারিজ বাংলাদেশি-অস্ট্রৈলিয়ান ল্যাড’।

উলফার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়া ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। বাংলাদেশের আদালত তিনটি মামলায় তাকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একসঙ্গে তিন মামলার সাজা কার্যকর হওয়ায় সাত বছর পরই ২০০৪ সালে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।