ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়, নিহত ৫
পোস্ট ডেস্ক :
ফের আমেরিকায় এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ক্যারোলিনার র্যালিঘে এক বন্দুকধারী একজন অফ-ডিউটি পুলিশ অফিসার সহ পাঁচ জনকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার জেরে সাধারণভাবে শান্ত আবাসিক এলাকা হঠাৎ করে অপরাধের কেন্দ্রে পরিণত হয়। পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী একজন শ্বেতাঙ্গ যুবক। সন্ধ্যার আগেই তাকে আটক করা হয়। পুলিশের একজন মুখপাত্র সন্দেহভাজন ব্যক্তির বয়স উল্লেখ করেননি বা তার সম্পর্কে আরও কোনো তথ্য দেননি। তারা হামলার কারণও জানতে পারেননি। র্যালিঘের মিউনিসিপাল বিল্ডিংয়ে গভর্নর রয় কুপার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন- ‘সন্ত্রাস আমাদের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এটি একটি বুদ্ধিহীন, ভয়ঙ্কর এবং ক্রোধজনক সহিংসতার কাজ।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অন্য দু’জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার যিনি বৃহস্পতিবার দেরীতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন এবং অন্য একজন যিনি গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। হতাহতদের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
মেয়র মেরি-অ্যান বাল্ডউইন সংবাদ সম্মেলনে হতাহতের সংখ্যা তুলে ধরার সময়ে দৃশ্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন । তিনি বলেন, ”এখন আমাদের সকলের একত্রিত হওয়া দরকার। আমাদের সম্প্রদায়ের যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের সমর্থন করা দরকার।”
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন- বিকেল ৪টার দিকে তারা হঠাৎ সাইরেনের শব্দ শুনতে পান। এক ঘণ্টার মধ্যে গোটা রাস্তা আশেপাশের পুলিশের গাড়িতে ভরে যায়। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাউকে বাইরে বের হতে নিষেধ করেন। গোটা এলাকা দেখে মনে হচ্ছিলো লকডাউন চলছে। সাইট থেকে প্রায় দেড় মাইল দূরে ঈগল ট্রেস ড্রাইভে ট্র্যাফিক স্থবির করে দেয়া হয়। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত হঠােৎ করেই জনসমাগম এলাকাতে আসে এবং কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দেয়। ভিড়ে যে বন্দুকের সামনে আসে তাঁকে লক্ষ্য করেই ওই ব্যক্তি গুলি চালাতে থাকে।
র্যালিঘে – গুলির ঘটনাটি ছিল দেশজুড়ে চলা ব্যাপক বন্দুক সহিংসতার সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে মে মাসে বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। টেক্সাসের উভালদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯ শিশু এবং দুই শিক্ষক নিহত হয়েছিল। ৪ জুলাই আরেকটি গুলিবর্ষণের ঘটনা- যাতে সাতজন নিহত হয়। গান ভায়োলেন্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় সমস্যা। ২০২২ এই বন্দুকবাজের হামলায় ৩৪,০০০ এরও বেশি লোক মারা গিয়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ অনুসারে, বৃহস্পতিবারের শ্যুটিংটি ২০২২ সালে উত্তর ক্যারোলিনায় সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ছিল।