টেমস নদী থেকে জগন্নাথপুরের সুমার লাশ উদ্ধার

Published: 15 May 2023

পোস্ট ডেস্ক :


যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে সুমা বেগম (২৪) নামের এক বাংলাদেশি গৃহবধূকে হত্যার পর সুটকেসে ভরে নদীতে ফেলে দেয়ার ১১ দিন পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার লন্ডনের টেমস নদী থেকে সুটকেসবন্দি ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ওই গৃহবধূর স্বামী আমিনুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুমা বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত ঠাকুর মিয়ার মেয়ে। লন্ডন পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৪ বছর আগে সুমা বেগমের তালতো ভাই ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের ঘোড়াডুমবুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমিনুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান সুমা। পূর্ব লন্ডনের একটি তৃতীয় তলা বাসায় বসবাস করতেন ওই দম্পতি। তাদের আড়াই বছর ও ৪ মাসের দুই সন্তান রয়েছে। লন্ডন পুলিশ জানায়, গত ৩০শে এপ্রিল সুমার স্বামী আমিনুর রহমানকে দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে আমিনুরকে জিজ্ঞাসা করলে, সে পুলিশকে বলে তার স্ত্রী সুমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আমিনুর।

এরপর থেকে সুমাকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ।

এরমধ্যে সুমার স্বামী গা ঢাকা দিলে পুলিশের এতে সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আমিনুর পুলিশের কাছে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, সুমার মরদেহ একটি সুটকেসে ভরে পূর্ব লন্ডনের রিভার লি নদীতে ফেলে দেয়। এরপর থেকে পুলিশ টানা ১১দিন খোঁজার পর ফেলে দেয়া স্থান থেকে প্রায় ৬ মাইল দূরে টেমস নদী থেকে গত বৃহস্পতিবার সুটকেসবন্দি সুমার লাশ উদ্ধার করে। লন্ডন পুলিশ গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে সুমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে সুমার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়েছে।